০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
১৫শ শতকের চিত্রশিল্পী কীভাবে এক সংশয়ীকে বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন? জাপানে সিচুয়ান ক্লাসিকের উমামি স্বাদ তেরো ভাষায় রোসালিয়ার ‘লাক্স’: নারীত্ব, বিশ্বাস ও প্রেমের নির্মমতার এক সঙ্গীতযাত্রা সিওরাক পর্বতের পাদদেশে ৫০০ বছরের পুরনো সাঙডোমুন গ্রাম , ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের মিলনস্থল ডোপামিন ডিটক্স: অতিরিক্ত চিন্তা থামানোর এক বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় এরি ক্যানাল: একটি মানবসৃষ্ট জলপথ যা আমেরিকাকে রূপান্তরিত করেছে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ: নির্বাচন ঘিরে কোন অশনি সংকেত? দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তা: একত্রিত হয়ে নতুন জীবন গড়ার সংগ্রাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসু নির্বাচন নিয়ে তীব্র বিতর্ক মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৩)

বিএনপি নেতাদের প্রতি ফখরুলের আহ্বান — ডিজিটাল উপস্থিতি জোরদার করুন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের ভেতরে ও বাইরে দলের বার্তা ছড়িয়ে দিতে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক লড়াই আর ময়দানে নয়, বরং সাইবার দুনিয়ায় হচ্ছে।

আধুনিক প্রযুক্তিতে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছানোর আহ্বান

রবিবার ঢাকায় এক হোটেলে বিএনপির প্রবাসী সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, “আজকের যুদ্ধ হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। কত বক্তৃতা দিচ্ছেন বা কত সভা করছেন, তা নয়—মূল বিষয় হলো আপনি কত মানুষের কাছে অনলাইনে পৌঁছাতে পারছেন।”

তিনি দলীয় নেতাদের অনুরোধ করেন, প্রযুক্তিকে রাজনৈতিক যোগাযোগের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে এবং আধুনিক মাধ্যমের সুযোগ কাজে লাগাতে।

তরুণ প্রজন্মই এগিয়ে নেবে ডিজিটাল উদ্যোগ

ফখরুল স্বীকার করেন, দলের অনেক সিনিয়র নেতা প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনও দক্ষ নন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রজন্ম এই ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে। আমার নাতি প্রযুক্তি ব্যবহারে আমার চেয়ে অনেক বেশি জানে। তবে আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম এই উদ্যোগকে আরও উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে নেবে এবং দলের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেবে।”

প্রযুক্তি শেখার বিকল্প নেই

বিএনপি মহাসচিব নেতাদের দ্রুত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন প্রযুক্তির যুগ। শেখার বিকল্প নেই। স্বীকার করি, আমরা এখনো এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রযুক্তি শেখার মাধ্যমে দলকে ডিজিটালভাবে শক্তিশালী করুন।”

সামাজিক মাধ্যমে ঐক্য ও সম্পৃক্ততার বার্তা

ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সামাজিক মাধ্যমের কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া উচিত। “যখন আমাদের চেয়ারম্যান কিছু পোস্ট করেন, তখন আমাদের উচিত সেটিতে অংশ নেওয়া — লাইক করা, শেয়ার করা ও মন্তব্য করা। এভাবেই আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে পারি এবং ডিজিটাল যোগাযোগ আরও জোরদার করতে পারি,” তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল ডিজিটাল সদস্যপদ ও অনলাইন পেমেন্ট প্রকল্প চালু করেছে, যা বিএনপিকে প্রযুক্তির শক্তিতে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

নভেম্বর: বিএনপির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস

ফখরুল বলেন, নভেম্বর মাসটি বিএনপির জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক ও জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
“এই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন,” তিনি বলেন।

তিনি আরও যোগ করেন, “সেই বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশাল শাসনের অবসান ঘটান এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদান

ফখরুল বলেন, “জিয়াউর রহমান গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পথ উন্মুক্ত করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে বন্ধ অর্থনীতি থেকে উন্মুক্ত বাজারব্যবস্থায় নিয়ে আসেন।”

তিনি আরও বলেন, “পরে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করেন।”

সংস্কারের বিরোধী নয় বিএনপি

সংস্কারের বিরোধিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, “এটা পরিকল্পিত অপপ্রচার। বাস্তবে বিএনপিই প্রথম সংস্কার চালু করেছিল এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করেছে।”

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করছে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দল ডিজিটাল যোগাযোগে আরও শক্তিশালী হতে চায়, যা তাদের রাজনৈতিক বার্তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫শ শতকের চিত্রশিল্পী কীভাবে এক সংশয়ীকে বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন?

বিএনপি নেতাদের প্রতি ফখরুলের আহ্বান — ডিজিটাল উপস্থিতি জোরদার করুন

০৮:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের ভেতরে ও বাইরে দলের বার্তা ছড়িয়ে দিতে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক লড়াই আর ময়দানে নয়, বরং সাইবার দুনিয়ায় হচ্ছে।

আধুনিক প্রযুক্তিতে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছানোর আহ্বান

রবিবার ঢাকায় এক হোটেলে বিএনপির প্রবাসী সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, “আজকের যুদ্ধ হচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। কত বক্তৃতা দিচ্ছেন বা কত সভা করছেন, তা নয়—মূল বিষয় হলো আপনি কত মানুষের কাছে অনলাইনে পৌঁছাতে পারছেন।”

তিনি দলীয় নেতাদের অনুরোধ করেন, প্রযুক্তিকে রাজনৈতিক যোগাযোগের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে এবং আধুনিক মাধ্যমের সুযোগ কাজে লাগাতে।

তরুণ প্রজন্মই এগিয়ে নেবে ডিজিটাল উদ্যোগ

ফখরুল স্বীকার করেন, দলের অনেক সিনিয়র নেতা প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনও দক্ষ নন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রজন্ম এই ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে। আমার নাতি প্রযুক্তি ব্যবহারে আমার চেয়ে অনেক বেশি জানে। তবে আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম এই উদ্যোগকে আরও উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে নেবে এবং দলের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেবে।”

প্রযুক্তি শেখার বিকল্প নেই

বিএনপি মহাসচিব নেতাদের দ্রুত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন প্রযুক্তির যুগ। শেখার বিকল্প নেই। স্বীকার করি, আমরা এখনো এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রযুক্তি শেখার মাধ্যমে দলকে ডিজিটালভাবে শক্তিশালী করুন।”

সামাজিক মাধ্যমে ঐক্য ও সম্পৃক্ততার বার্তা

ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সামাজিক মাধ্যমের কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া উচিত। “যখন আমাদের চেয়ারম্যান কিছু পোস্ট করেন, তখন আমাদের উচিত সেটিতে অংশ নেওয়া — লাইক করা, শেয়ার করা ও মন্তব্য করা। এভাবেই আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে পারি এবং ডিজিটাল যোগাযোগ আরও জোরদার করতে পারি,” তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল ডিজিটাল সদস্যপদ ও অনলাইন পেমেন্ট প্রকল্প চালু করেছে, যা বিএনপিকে প্রযুক্তির শক্তিতে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

নভেম্বর: বিএনপির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস

ফখরুল বলেন, নভেম্বর মাসটি বিএনপির জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক ও জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
“এই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন,” তিনি বলেন।

তিনি আরও যোগ করেন, “সেই বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশাল শাসনের অবসান ঘটান এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদান

ফখরুল বলেন, “জিয়াউর রহমান গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পথ উন্মুক্ত করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে বন্ধ অর্থনীতি থেকে উন্মুক্ত বাজারব্যবস্থায় নিয়ে আসেন।”

তিনি আরও বলেন, “পরে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করেন।”

সংস্কারের বিরোধী নয় বিএনপি

সংস্কারের বিরোধিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, “এটা পরিকল্পিত অপপ্রচার। বাস্তবে বিএনপিই প্রথম সংস্কার চালু করেছিল এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করেছে।”

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপি এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করছে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দল ডিজিটাল যোগাযোগে আরও শক্তিশালী হতে চায়, যা তাদের রাজনৈতিক বার্তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।