কোম্পানি-নীতি সংঘাতে নতুন অধ্যায়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের করপোরেট স্থায়িত্ব-ডিউ-ডিলিজেন্স আইনের বিরোধিতা নতুন নয়, কিন্তু এবার এক্সোনমোবিল প্রধান ড্যারেন উডস সরাসরি বলেছেন—আইন না নরম হলে ইউরোপে তাদের কর্মকাণ্ড কমতে বা থেমে যেতে পারে। সরবরাহ শৃঙ্খলজুড়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার ক্ষতির দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানা, বিস্তৃত অডিট-রেমেডিয়েশন—এসব শর্তকে কোম্পানি “শাস্তিমূলক” বলছে। ব্রাসেলস প্রতিদ্বন্দ্বিতা টিকিয়ে রাখতে কিছু শর্ত ঢিলা দেবে কি না, সেই বিতর্কের মাঝেই মন্তব্যটি এল।
কোনখানে সমঝোতার পথ?
সমর্থকেরা যুক্তি দেন—বাধ্যতামূলক নিয়ম ছাড়া সবুজ দাবিগুলো কাগজে থেকে যায়; বিরোধীর মত—অতিরিক্ত দায় ঝুঁকি প্রকল্প ঠান্ডা করে, শক্তি নিরাপত্তা ও ডিকার্বনাইজেশনও ধাক্কা খায়। এক্সোনমোবিল আগেই ইইউর খসড়া বিধির কারণে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বিনিয়োগ থামিয়েছে। ইইউ যদি হঠাৎ পিছু হটে, বহু বছরের ইএসজি-মানদণ্ড স্থাপনের সুনাম প্রশ্নে পড়বে। বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে ধাপে ধাপে প্রয়োগ, নিরাপদ ‘সেফ হারবার’, এবং আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সমন্বয়—যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়। আপাতত ইউরোপের জলবায়ু নীতি ঢুকে পড়েছে ‘কস্ট-অফ-ক্যাপিটাল’ পরীক্ষায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















