প্রথম দিন: একটি পর্বত জার্নি
হা গিয়ান লুপে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল কুয়ান বা পাস দিয়ে, যেখানে আমি সোজা রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলাম, আর মাঝে মাঝে বাঁক নিতে হচ্ছিল। এক পর্যায়ে, রাস্তার ডান পাশে পাহাড়, সোনালি ক্ষেত এবং গা dark পাহাড়ের দৃশ্য দেখা গেল, যা স্থানীয়রা ‘স্বর্গের দ্বার’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এটি হা গিয়ান লুপের ২৩১ মাইলের দীর্ঘ এক পথের শুরু, যা একেবারে সুন্দর, যদিও অত্যন্ত কণ্টকাকীর্ণ এবং বিপদজনক।
এই পথটির শুরুর ইতিহাস ও সৌন্দর্য ছিল আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। চিত্রাবলী, গ্রাম্য জীবন ও পাহাড়ি রাস্তা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। তবে, সেখানে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে আমার প্রথম দিনেই পুলিশ আমাকে থামিয়ে জরিমানা করেছিল, যা পরে আর কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি।
হা গিয়ান লুপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই অঞ্চলের মূল আকর্ষণ রাস্তার মধ্যে খোলা রেস্টুরেন্ট, সাংস্কৃতিক স্থান এবং গ্রামীণ জীবন। তবে, স্থানীয় পর্যটন সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে কম।
দ্বিতীয় দিন: “হ্যাপি ওয়াটার” এবং পাহাড়ি দৃশ্য
আমরা কুয়ান বা পাস পেরিয়ে তাম সন নামে একটি সুন্দর শহরে পৌঁছলাম, যেখানে পাহাড়ি অঞ্চলের দৃশ্য ও গ্রামীণ জীবন মিশ্রিত ছিল। সেখানে ‘হ্যাপি ওয়াটার’ নামে এক ধরনের দেশীয় মদ পান করা হয়েছে, যা লোকাল সংস্কৃতির একটি অংশ। এই অঞ্চলে থাকাবস্থায়, আমি স্থানীয়দের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করে আনন্দ পেয়েছি।

তৃতীয় দিন: চরম চড়াই এবং দুঃসাহসিক অভিযান
হা গিয়ান লুপের তৃতীয় দিনে, আমি আসলেই অনুভব করেছিলাম রাস্তা আর কঠিন হয়ে উঠেছে। ভূ-তাত্ত্বিক ও রাস্তা নির্মাণের ইতিহাস জানানো হলো, যা ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল। পাহাড়ি রাস্তা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল, এবং আমি সেসব পরিস্থিতিতে শক্তি ও দৃঢ়তা অনুভব করছিলাম।
চতুর্থ দিন: “স্বপ্ন থেকে জাগা”
সবশেষে, যখন আমরা পাহাড়ি রাস্তা থেকে নামছিলাম, তখন আমি এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করছিলাম। মোটরসাইকেল চালানো আমাকে বাস্তবতার থেকে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, যেখানে একমাত্র বর্তমান মুহূর্তটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন পর্যটক হিসেবে, এই অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে স্বপ্নের মতো, এবং মনে হচ্ছিল যেন আমি এক অবিশ্বাস্য জায়গায় পৌঁছে গেছি।
এই যাত্রা শেষে, আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে অনুভব করছিলাম, এক ধরনের নবজীবনের মতো।
#উত্তরভিয়েতনাম #মোটরসাইকেলযাত্রা #হাগিয়ানলুপ #ভ্রমণ #স্বর্গেরদ্বার #পাহাড়িরাস্তায়
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















