উত্তেজনার মাঝেই নতুন পরীক্ষা
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগরমুখী একটি সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে চালানো অস্ত্র পরীক্ষার সর্বশেষ ঘটনা। ক্ষেপণাস্ত্রটি স্বাভাবিক গতিপথে উড়ে সমুদ্রে পতিত হয় এবং এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ও পাল্লা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। জাপানও নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বল্প সময়ের জন্য নৌযানগুলোকে সতর্ক করেছিল, যদিও তারা বলেছে ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের একচেটিয়া অর্থনৈতিক সীমার বাইরে পড়েছে। কয়েক দিন আগে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘনিষ্ঠতাকে “বৈরী” আখ্যা দিয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল; আজকের পরীক্ষা সেটিরই ধারাবাহিকতা, যা দেখায় কিম জং উনের সরকার এখনও আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী নয়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তায় চাপ
এ নিক্ষেপ এমন সময়ে হলো যখন জাপান নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে বড় মহড়া আবার শুরু করেছে। সিউলের যৌথ বাহিনী কমান্ড একে “গুরুতর উসকানি” বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, আরও পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতাই বাড়াবে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা সিউল ও টোকিওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা অঙ্গীকার “অটল” থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, শুক্রবারের নিক্ষেপ আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে পিয়ংইয়ং এমন স্বল্প ও মধ্যপাল্লার অস্ত্রচালনা অনুশীলন করছে, যেগুলো আটকানো কঠিন। একই সঙ্গে এটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন অঞ্চলটির তিন দেশই চীনের সঙ্গে টানাপোড়েন কমাতে চায়, কিন্তু উত্তর কোরিয়া দেখাতে চাইছে যে তার কর্মসূচি এড়ানো যাবে না। জ্বালানি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা কম; বরং নতুন এই পরীক্ষাটি জাতিসংঘের রেকর্ডে আরেকটি লঙ্ঘন হিসেবে যুক্ত হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















