গাজার জন্য মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ আরও জোরদার করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই’র)। দেশটির এক বিশেষ দূত শুক্রবার জানিয়েছেন, স্থল ও আকাশপথের পাশাপাশি সাগরপথেও সাইপ্রাসের মাধ্যমে সহায়তা পৌঁছানোকে কেন্দ্রীয় রুট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সাইপ্রাস থেকে সমুদ্রপথে সহায়তার গুরুত্ব
ইউএই’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী লানা নুসেইবেহ জানান, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ সাইপ্রাস থেকে প্রাক-পরীক্ষিত মানবিক সহায়তা পাঠানোর সামুদ্রিক রুটটি গাজার জনগণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জীবনরেখা হিসেবে কাজ করছে। দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজায় বিপুল পরিমাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে সাইপ্রাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ইউএই’র।
তিনি বলেন, “গাজায় একাধিক প্রবেশপথ খোলা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন পথে প্রবেশের সুযোগ অব্যাহত রাখা হবে আমাদের অগ্রাধিকার।”
নুসেইবেহ সাইপ্রাসের লিমাসল বন্দরে গাজামুখী সহায়তা সামগ্রীর গুদাম পরিদর্শনের পর এ মন্তব্য করেন।
যুদ্ধবিরতি ও সহায়তার চ্যালেঞ্জ
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত এক শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়। এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সীমান্ত অতিক্রম করে আক্রমণের পর শুরু হওয়া দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হয় এবং ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তির পথ সুগম হয়।
তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মানবিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ—গাজায় পৌঁছানো সহায়তার পরিমাণ এখনো চরমভাবে অপ্রতুল।
আমালথিয়া উদ্যোগ ও সহায়তার অগ্রগতি
গত বছর শুরু হওয়া “আমালথিয়া ইনিশিয়েটিভ”-এর আওতায় সাইপ্রাস থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২,০০০ টন সহায়তা পাঠানো হয়েছে। এই সহায়তার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্থাপিত অস্থায়ী ঘাটের মাধ্যমে সরাসরি গাজায় পৌঁছেছে, বাকিগুলো পাঠানো হয়েছে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে।
নুসেইবেহ বলেন, “আমরা চাই মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে গাজার জনগণের হাতে পৌঁছাক। এজন্য স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে প্রবেশের সুযোগ এক সঙ্গে বজায় রাখা অপরিহার্য।”
#মধ্যপ্রাচ্য #গাজা #সংযুক্ত_আরব_আমিরাত #সাইপ্রাস #মানবিক_সহায়তা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















