মনোমুগ্ধকর সূচনা
চীনের গুয়াংডং অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত জাতীয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবিবার দেখা গেল এক বিশাল ভাসমান পৌরাণিক মাছের পাপেট—যা মুহূর্তেই মুগ্ধ করে তুলল দর্শক ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা লাখো মানুষকে। অনুষ্ঠানে আরও ছিল হংকংয়ের পপ তারকাদের পরিবেশনা, আগুন প্রজ্বালনসহ নানা আকর্ষণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস
১৩ দিনব্যাপী এই চার বছর অন্তর আয়োজিত ক্রীড়া উৎসবের সূচনা হয় রঙিন ও আলো ঝলমলে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের পরপরই দর্শকেরা সামাজিক মাধ্যম ‘রেডনোট’-এ ভেসে যান ভিডিও ও ছবির বন্যায়। ভাসমান, আলোকিত ও রঙিন মাছটির দৃশ্য যেন স্বপ্ন থেকে উঠে এসেছিল—এমন মন্তব্যও করেন অনেকে।
একজন ব্যবহারকারী ‘ইয়্যাপ!’ লিখেছেন, “যখন পৌরাণিক মাছটি আলোকিত হলো, তখন পুরো স্টেডিয়াম বিস্ময়ে নিঃশব্দ হয়ে গেল।” অনেকেই বলেন, এর গতিবিধি এত বাস্তব মনে হচ্ছিল যে যেন কম্পিউটার গ্রাফিক্স দিয়ে তৈরি।
দর্শকদের মুগ্ধতা
অনেকে মন্তব্য করেছেন, “মাছটি যেন আত্মার উপস্থিতি প্রকাশ করছিল,” আবার কেউ লিখেছেন, “সৌন্দর্য আর প্রযুক্তির নিখুঁত মিশেল—এ যেন জাদু।” অন্যরা বলেছেন, “এটা দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”

পাপেটের নেপথ্যে
এই পৌরাণিক মাছটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন প্রায় ২০ জন পাপেটিয়ার। তাঁরা মাটিতে হাঁটছিলেন, আর তাঁদের হাতের নড়াচড়ায় তৈরি হচ্ছিল মাছটির পানিতে ভেসে বেড়ানোর ভ্রম। হালকা কাঠামো ও বিশেষ কাপড়ের ব্যবহারে পাখনার মৃদু দোল তৈরি হয়, যা একে করে তোলে জীবন্ত ও মায়াবী।
নৃত্য, সঙ্গীত ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিল পানির ওপর পরিবেশিত এক মনোমুগ্ধকর ব্যালে। পুরো আয়োজনেই মিশে ছিল আধুনিক প্রযুক্তি ও চীনা ঐতিহ্যের গভীর সংযোগ।

পৌরাণিক প্রতীকের ঐতিহ্য
এই মাছটি দক্ষিণ চীনের লোককথায় বহু শতাব্দী ধরে বিদ্যমান। ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যে রঙিন সিরামিক টাইলের ছাদের উপরে প্রায়ই দেখা যায় এ ধরনের মাছের প্রতিরূপ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এটি সৌভাগ্য ও আশীর্বাদের প্রতীক।
#জাতীয়গেমস #চীন #পৌরাণিকমাছ #সংস্কৃতি #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















