০৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান চীনের গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা স্থগিত, নিয়ন্ত্রণ বহাল

থাই–মালয়েশিয়া উপকূলে রোহিঙ্গা নৌডুবি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

উদ্ধার তৎপরতা ও বিপজ্জনক যাত্রাপথ
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি সাগরে রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে, কিন্তু নৌকায় থাকা আরও বহুজনের খোঁজ নেই। তাদের ধারণা, প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে নৌকাটি মিয়ানমারের উপকূল থেকে মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবই দুর্ঘটনাকে মারণঘাতী করেছে। উদ্ধারকর্মীরা সোমবার সকাল পর্যন্ত সাগর থেকে কয়েকজনকে জীবিত তুলতে সক্ষম হন, তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, সময় যত গড়াবে ততই জীবিত কারও দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বছরের এ সময়টায় সমুদ্র তুলনামূলক শান্ত থাকায় দালালচক্রগুলো বেশি যাত্রী ঠেলে দেয়, ফলে পাড়ি দেওয়া যেমন বাড়ে, বিপদও ততই বাড়ে। থাইল্যান্ড গত কয়েক বছরে মানবপাচারবিরোধী কয়েকটি অভিযান চালালেও আন্দামান সাগরের সরু ও ব্যস্ত রুটে প্রতিটি নৌকা চিহ্নিত করা কঠিন। রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি বরাবরের মতোই অনিরাপদ—রাখাইনে থাকা মানে সহিংসতা আর দারিদ্র্যের ঝুঁকি, আর সমুদ্রপথে নামলে জীবন বাজি।
আঞ্চলিক সমন্বয়ের ঘাটতি
এই নৌডুবি আবারও দেখাল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া দুই দেশই সমুদ্রপথে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় ও দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের একটি যৌথ পদ্ধতি করতে পারেনি। ব্যাংকক একদিকে পাচারচক্রের বিরুদ্ধে কঠোরতার কথা বলছে, আবার অন্যদিকে নিঃশব্দে কিছু যাত্রীকে মালয়েশিয়ার দিকে যেতে দিচ্ছে, কারণ গন্তব্যদেশে একই ভাষাভাষী ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি। কুয়ালালামপুরের অভিযোগ, তাদের ওপরই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার ও আশ্রয়ের বোঝা পড়ে, বিশেষ করে যখন নৌকাগুলো বাংলাদেশি ক্যাম্প বা মিয়ানমারের উপকূল থেকে ভেসে আসে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক অচলাবস্থা না বদলালে আসিয়ান পর্যায়ের কোনো স্থায়ী সমাধান সামনে আসবে না; ফলে দেশগুলো আগের মতোই কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে এই রুটে সক্রিয় দালালদের শনাক্ত করা যায়। তবে নিরাপদ ও বৈধ রুট তৈরি না হলে বছরের বাকি সময়েও এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা থামবে না—এই আশঙ্কাই এখন সামনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ

থাই–মালয়েশিয়া উপকূলে রোহিঙ্গা নৌডুবি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

০৬:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

উদ্ধার তৎপরতা ও বিপজ্জনক যাত্রাপথ
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি সাগরে রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে, কিন্তু নৌকায় থাকা আরও বহুজনের খোঁজ নেই। তাদের ধারণা, প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে নৌকাটি মিয়ানমারের উপকূল থেকে মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবই দুর্ঘটনাকে মারণঘাতী করেছে। উদ্ধারকর্মীরা সোমবার সকাল পর্যন্ত সাগর থেকে কয়েকজনকে জীবিত তুলতে সক্ষম হন, তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, সময় যত গড়াবে ততই জীবিত কারও দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বছরের এ সময়টায় সমুদ্র তুলনামূলক শান্ত থাকায় দালালচক্রগুলো বেশি যাত্রী ঠেলে দেয়, ফলে পাড়ি দেওয়া যেমন বাড়ে, বিপদও ততই বাড়ে। থাইল্যান্ড গত কয়েক বছরে মানবপাচারবিরোধী কয়েকটি অভিযান চালালেও আন্দামান সাগরের সরু ও ব্যস্ত রুটে প্রতিটি নৌকা চিহ্নিত করা কঠিন। রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি বরাবরের মতোই অনিরাপদ—রাখাইনে থাকা মানে সহিংসতা আর দারিদ্র্যের ঝুঁকি, আর সমুদ্রপথে নামলে জীবন বাজি।
আঞ্চলিক সমন্বয়ের ঘাটতি
এই নৌডুবি আবারও দেখাল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া দুই দেশই সমুদ্রপথে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় ও দ্রুত যাচাই-বাছাইয়ের একটি যৌথ পদ্ধতি করতে পারেনি। ব্যাংকক একদিকে পাচারচক্রের বিরুদ্ধে কঠোরতার কথা বলছে, আবার অন্যদিকে নিঃশব্দে কিছু যাত্রীকে মালয়েশিয়ার দিকে যেতে দিচ্ছে, কারণ গন্তব্যদেশে একই ভাষাভাষী ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি। কুয়ালালামপুরের অভিযোগ, তাদের ওপরই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার ও আশ্রয়ের বোঝা পড়ে, বিশেষ করে যখন নৌকাগুলো বাংলাদেশি ক্যাম্প বা মিয়ানমারের উপকূল থেকে ভেসে আসে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক অচলাবস্থা না বদলালে আসিয়ান পর্যায়ের কোনো স্থায়ী সমাধান সামনে আসবে না; ফলে দেশগুলো আগের মতোই কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে এই রুটে সক্রিয় দালালদের শনাক্ত করা যায়। তবে নিরাপদ ও বৈধ রুট তৈরি না হলে বছরের বাকি সময়েও এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা থামবে না—এই আশঙ্কাই এখন সামনে।