দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা বাড়াতে বেবিচকের নির্দেশ
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেবিচকের সদর দফতর থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, তা আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি টহল কার্যক্রম বাড়ানো এবং মনিটরিং সিস্টেম আরও উন্নত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি ও ফায়ার সার্ভেইল্যান্স জোরদার
বেবিচক জানিয়েছে, প্রতিটি বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। এ বিষয়ে দেশের সব বিমানবন্দরে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।”
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে গত দুই দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। সম্ভাব্য নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধুমাত্র যাত্রী ও স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং জাতীয় অবকাঠামো রক্ষার অংশ হিসেবেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
#নিরাপত্তা #বিমানবন্দর #বেবিচক
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















