রায়ানএয়ার কাগুজে বোর্ডিং পাস ছেড়ে মোবাইল অ্যাপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে, ফলে যাত্রীদের অধিকাংশকেই স্মার্টফোনে রায়ানএয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে চেক-ইন ও বোর্ডিং করতে হবে। বড় বিমানবন্দরে কাউন্টার থাকবে, কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত ভিড় বা ফি পড়তে পারে—বিশেষত যাঁদের ফোন নেই বা স্ক্যানারে কোড কাজ করছে না। সংস্থার দাবি, ডিজিটাল পাস জালিয়াতি কমায় ও উড়োজাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড দ্রুত করে; ইউনিয়নের আশঙ্কা, ব্যাটারি বা অ্যাপ সমস্যায় গেটে জট বাড়তে পারে। ভোক্তা সংগঠনগুলো অফলাইন কিউআর কোড, নেট-ছাড়া কাজ করার সক্ষমতা এবং ডিভাইস হারালে সহজ বিকল্পের মতো ন্যূনতম মানদণ্ড স্পষ্ট করতে নিয়ন্ত্রকদের আহ্বান জানিয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সাইনেজ ও ওয়াই-ফাই নির্দেশিকা বদলাচ্ছে; ট্রাভেল এজেন্টরা পাওয়ার ব্যাংক ও ব্যাক-আপ লগইনের পরামর্শ দিচ্ছে।
ইইউর যাত্রী অধিকার নিয়ম ডিজিটাল নথি মান্য করে, তবে অক্ষমতা বা ডিভাইসের অপ্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত বিকল্প রাখতে বলে। তাই সমতাভিত্তিক অপশন ও স্বচ্ছ ম্যানুয়াল প্রসেসিং ফি প্রকাশের চাপ থাকবে এয়ারলাইনের ওপর। একই সঙ্গে গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্ন উঠেছে—অ্যাপে পরিচয়, ভ্রমণতথ্য ও পেমেন্ট একসঙ্গে থাকায় এনক্রিপশন, লোকাল স্টোরেজ নিরাপত্তা ও সীমিত বিজ্ঞাপন-ট্র্যাকিংয়ের দাবি জোরালো। কয়েকটি এয়ারলাইন ইতিমধ্যে ‘অ্যাপ-ফার্স্ট’ বোর্ডিং পরীক্ষা করছে; আবার কিছু সরকার ডিজিটাল ট্রাভেল ক্রেডেনশিয়াল চালু করছে। সফলতার চাবিকাঠি হবে অফলাইন পাস, রিডানড্যান্ট স্ক্যানার ও প্রশিক্ষিত স্টাফ। আপাতত যাত্রীদের স্ক্রিনশট, চার্জার ও (যেখানে সম্ভব) প্রিন্টেড ব্যাক-আপ নিয়ে প্রস্তুত থাকা ভালো।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















