কিমচি, সাওয়ারক্রাউট, কেফির, কম্বুচা—পেটের সুস্থতা বাড়ায় এমন দাবি করা ফারমেন্টেড খাবার বাজারে ঝড় তুলেছে। কিছু গবেষণায় বৈচিত্র্যময় মাইক্রোব ও ফারমেন্টেড ফাইবার রক্তে শর্করা-চাপ কমানোসহ উপকারী ইঙ্গিত দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা—অনেক পণ্যে জীবন্ত কালচার পরিবহনের পথেই কমে যায়; চিনি বেশি থাকা পানীয় উল্টো ক্ষতি করতে পারে; ডোজ ও স্ট্রেইন সবসময় স্পষ্ট নয়। কার্যকর ব্যবহার মানে নিয়মিত ছোট সার্ভিং, ফাইবারসমৃদ্ধ পূর্ণ খাদ্যের সাথে জোড়া দেওয়া, এবং সাপ্লিমেন্টকে সহায়ক হিসেবে দেখা। আইবিএস বা নির্দিষ্ট ওষুধে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরামর্শ জরুরি; কিছু ফারমেন্ট লক্ষণ বাড়াতে পারে। উৎসব মৌসুমে সহজ সাইড ডিশ হিসেবে চাহিদা বাড়ে; ব্র্যান্ডগুলো ‘ফাংশনাল’ দাবি যোগ করলেও নিয়ন্ত্রক সীমা মাথায় রাখতে হয়।
মাইক্রোবায়োমে উন্নতির আসল চাবিকাঠি ধারাবাহিকতা ও সামগ্রিক খাদ্যমান। ঠান্ডা চেইন ঠিক রাখুন, ‘লাইভ অ্যান্ড অ্যাকটিভ কালচার’ দেখুন; রান্নার শেষে যোগ করলে বেঁচে থাকা ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে। দই-কেফিরে প্রোটিন ও মাইক্রোব মেলে; মিসো-টেম্পেহ উপকারী হলেও লবণ পরিমাণ খেয়াল করতে হয়। ভোক্তা সংগঠনগুলো কলোনি কাউন্ট ও স্ট্রেইন মানসম্মতভাবে লেবেল করার আহ্বান জানায়, যেমন ভিটামিন-মাত্রা উল্লেখ থাকে। ততদিন সুস্থ সন্দেহ কাজে দেবে—তিন দিনে ‘গাট রিসেট’ প্রতিশ্রুতি বিজ্ঞাপন, চিকিৎসা নয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















