গুজরাট অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) রিচিন দিয়ে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করার পর উঠে এসেছে নতুন তথ্য—তাদের মধ্যে দুই জন উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের একই মাদ্রাসায় হাফিজি পড়তেন। পরিবারগুলো দাবি করছে, তারা নির্দোষ, তবে তদন্তকারী সংস্থার মতে তারা প্রাণঘাতী রিচিন তৈরির চেষ্টা করছিলেন এবং সম্ভাব্য টার্গেট চিহ্নিত করে রেকি করেছিলেন।
গুজরাট এটিএস ৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে হায়দরাবাদের ডা. আহমেদ মোহিউদ্দিন সায়েদ (৩৫), শামলির আজাদ সুলেমান শেখ (২০) এবং লাখিমপুর খেরির মোহাম্মদ সুহাইল (২৩)। কর্মকর্তারা জানান, তারা রিচিন উৎপাদনের চেষ্টা করছিলেন। সম্ভাব্য টার্গেটগুলোর মধ্যে ছিল লখনউর আরএসএস অফিস, দিল্লির আজাদপুর কৃষিপণ্য বাজার কমিটি এবং নারোদার ফলের বাজার।
আজাদের পরিবার: “ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে”
আজাদ শামলির ঝিঞ্জানার বাসিন্দা। তার বড় ভাই শেজাদ সাইফি, যিনি সোনিপাতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, বলেন, “কোভিডের আগে আজাদ মুজাফ্ফরনগরের বুধানার একটি মাদ্রাসায় পড়ত। লকডাউনের সময় মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেলে ওকে আমি সোনিপাতে নিয়ে যাই। সেখানে সেলাই মেশিন মেরামতসহ ছোটখাটো কাজ করত। পরে মাদ্রাসা খুললে আবার পড়তে ফিরে যায়।”

পরিবার জানায়, প্রায় দুই মাস আগে আজাদ ১২ জনের সঙ্গে জামাতের কাজে পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিল। শেজাদ বলেন, “৭ নভেম্বর সে বলল মাদ্রাসায় যাবে… ৮ নভেম্বর গুজরাট পুলিশ থেকে ফোন পেয়ে তার গ্রেপ্তারির খবর পাই। নিশ্চয়ই কোনো ভুল হচ্ছে।”
পরিবারের আরও দাবি, তারা জানতেন সুহাইলও একই মাদ্রাসায় পড়ত।
সুহাইলের পরিবার: “সে কখনোই বেআইনি কাজে জড়িত নয়”
সুহাইল লাখিমপুর খেরির নিঘাসানের বাসিন্দা। তার বাবা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তিন বছর আগে সে হাফিজি পড়ার জন্য মুজাফ্ফরনগরের ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়।” তিনি জানান, ছেলের গ্রেপ্তারের খবর তারা পুলিশ থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারেন।
সেলিম বলেন, “সে জুন মাসে একবার বাড়িতে এসেছিল, তারপর আবার মাদ্রাসায় ফিরে যায়। কীভাবে সে আহমেদাবাদে গেল, আমরা জানি না। আজাদকেও চিনি না।”
স্থানীয় প্রতিনিধি: “এরা সহজ-সরল পরিবার”
লাখিমপুর খেরির সিঙহাই নগর পঞ্চায়তের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কায়িউম বলেন, “ওরা খুব সাধারণ পরিবার। সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে যে মামলায় অভিযোগ হয়েছে, সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।”
# সংবাদ ভারত নিরাপত্তা তদন্ত গুজরাট মুজাফ্ফরনগর
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















