০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
এরাস ট্যুরের অন্তরালে, টেলর সুইফটের নতুন ডকুসিরিজ ‘দ্য এন্ড অব অ্যান এরা’ পটুয়াখালীতে “জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে” অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ঢাকা–ব্যাংকক–ম্যানিলায় ব্যাগে ব্যাগে পাওয়ার ব্যাংক, শহরবাসীর নতুন ‘লাইফলাইন’ পাকিস্তানে নতুন অধ্যায়: ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আবারও বাড়ছে: সন্ত্রাসী হামলা ও আফগানিস্তানকে ঘিরে প্রক্সি যুদ্ধ কাগজেই থমকে ভারতের সবুজ হাইড্রোজেন স্বপ্ন সিএনজি চালকদের নিবন্ধন ও নিরাপত্তা দাবিতে র‌্যালি ঘোষণা দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় মূল অভিযুক্ত ডা. উমর নাবির বাড়ি ভেঙে দিল প্রশাসন নিজস্ব এআই চিপ এনে প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার পথে আরেক ধাপ বেইডু দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি মাত্র ৩%

বিশ্বের বিস্ময়কর বিজ্ঞান-ফটোগ্রাফি

এই মাসে বিশ্বজুড়ে তোলা কিছু বিস্ময়কর বিজ্ঞান-ফটোগ্রাফির মধ্যে রয়েছে প্রবালের ভেতরের জগতের অভূতপূর্ব দৃশ্য এবং আকাশে সৃষ্টি হওয়া বিরল ‘কেলভিন–হেলমহোল্টজ’ মেঘ। বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ঘটনার সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে এই ছবিগুলো।


প্রবালের ভেতরের স্বপ্নিল বন

এটি দেখতে যেন কোনো রূপকথার স্বপ্নরাজ্য। কিন্তু বাস্তবে এটি কোনো বন নয়, আর মানুষের হাঁটার মতো বড় জায়গাও নয়। ছবিটি আসলে এক প্রকার সফট কোরাল—ফুলকপির মতো দেখতে ‘কাউলিফ্লাওয়ার সফট কোরাল’-এর ভেতরের অংশ।

এই ছবিটি ২০২৫ সালের ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার ন্যাচারাল আর্টিস্ট্রি বিভাগে রানার-আপ হয়। ছবি তুলেছেন রস গাজডিয়ন, যিনি বিশেষ এক ম্যাক্রো–ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কোরালের নরম শাখাগুলোর গভীরে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে এই দৃশ্য ধারণ করেন।

অনেক কোরাল আলোকসংশ্লেষণ নির্ভরশীল। কিন্তু সফট কোরাল হলো ‘ফিল্টার ফিডার’—এরা পানির স্রোতে ভেসে আসা ক্ষুদ্র প্রাণী ও কণিকা ছেঁকে খেয়ে বাঁচে। ছবিতে প্রতিটি শাখার ডগায় দেখা যায় একটি করে পলিপ—ছোট নলাকৃতির গঠন, যার মুখ রয়েছে এক প্রান্তে। সেই মুখের চারদিকে পালকের মতো নরম টেন্টাকল থাকে, যা পানির স্রোত থেকে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ধরে মুখের ভেতর পাঠায়।


চেক প্রজাতন্ত্রের আকাশে কেলভিন–হেলমহোল্টজ মেঘ

ঢেউয়ের মতো আকৃতির এই বিশেষ মেঘের নামকরণ হয়েছে দুই বিজ্ঞানী উইলিয়াম থমসন (লর্ড কেলভিন) এবং হারমান ভন হেলমহোল্টজের নামে। বায়ুমণ্ডলের দুই স্তর ভিন্ন গতিতে চললে এ ধরনের ঢেউ-আকৃতির মেঘ তৈরি হয়।

উপরের স্তরের উষ্ণ ও হালকা বায়ু যদি নিচের ঠান্ডা ও ভারী বায়ুর তুলনায় দ্রুতগতিতে চলে, তাহলে মেঘের ওপর ঠিক হ্রদের জলের মতো ঢেউ সৃষ্টি হয়। দ্রুত বয়ে যাওয়া বায়ু মেঘের জলীয়বাষ্পকে ওপরে তোলে, আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে তা নিচে নেমে আসে—একেবারে সৈকতের ঢেউ ভাঙার মতো।

এই মেঘ সাধারণত ট্রপোস্ফিয়ারের যেকোনো অংশে তৈরি হতে পারে, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়। তাই এমন মেঘ দেখা বা এর ছবি তোলা বিরল ঘটনা। কেলভিন–হেলমহোল্টজ মেঘকে বায়ুচঞ্চলতার নির্দেশকও বলা হয়; পাইলটরা এ ধরনের মেঘ দেখলে সাধারণত পথ পরিবর্তন করেন, কারণ এর ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।


#বিজ্ঞান_ফটোগ্রাফি #প্রবাল প্রাকৃতিক_ঘটনা #কেলভিন_#হেলমহোল্টজ #বিশ্বপ্রকৃতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

এরাস ট্যুরের অন্তরালে, টেলর সুইফটের নতুন ডকুসিরিজ ‘দ্য এন্ড অব অ্যান এরা’

বিশ্বের বিস্ময়কর বিজ্ঞান-ফটোগ্রাফি

০৪:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

এই মাসে বিশ্বজুড়ে তোলা কিছু বিস্ময়কর বিজ্ঞান-ফটোগ্রাফির মধ্যে রয়েছে প্রবালের ভেতরের জগতের অভূতপূর্ব দৃশ্য এবং আকাশে সৃষ্টি হওয়া বিরল ‘কেলভিন–হেলমহোল্টজ’ মেঘ। বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ঘটনার সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে এই ছবিগুলো।


প্রবালের ভেতরের স্বপ্নিল বন

এটি দেখতে যেন কোনো রূপকথার স্বপ্নরাজ্য। কিন্তু বাস্তবে এটি কোনো বন নয়, আর মানুষের হাঁটার মতো বড় জায়গাও নয়। ছবিটি আসলে এক প্রকার সফট কোরাল—ফুলকপির মতো দেখতে ‘কাউলিফ্লাওয়ার সফট কোরাল’-এর ভেতরের অংশ।

এই ছবিটি ২০২৫ সালের ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার ন্যাচারাল আর্টিস্ট্রি বিভাগে রানার-আপ হয়। ছবি তুলেছেন রস গাজডিয়ন, যিনি বিশেষ এক ম্যাক্রো–ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কোরালের নরম শাখাগুলোর গভীরে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে এই দৃশ্য ধারণ করেন।

অনেক কোরাল আলোকসংশ্লেষণ নির্ভরশীল। কিন্তু সফট কোরাল হলো ‘ফিল্টার ফিডার’—এরা পানির স্রোতে ভেসে আসা ক্ষুদ্র প্রাণী ও কণিকা ছেঁকে খেয়ে বাঁচে। ছবিতে প্রতিটি শাখার ডগায় দেখা যায় একটি করে পলিপ—ছোট নলাকৃতির গঠন, যার মুখ রয়েছে এক প্রান্তে। সেই মুখের চারদিকে পালকের মতো নরম টেন্টাকল থাকে, যা পানির স্রোত থেকে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ধরে মুখের ভেতর পাঠায়।


চেক প্রজাতন্ত্রের আকাশে কেলভিন–হেলমহোল্টজ মেঘ

ঢেউয়ের মতো আকৃতির এই বিশেষ মেঘের নামকরণ হয়েছে দুই বিজ্ঞানী উইলিয়াম থমসন (লর্ড কেলভিন) এবং হারমান ভন হেলমহোল্টজের নামে। বায়ুমণ্ডলের দুই স্তর ভিন্ন গতিতে চললে এ ধরনের ঢেউ-আকৃতির মেঘ তৈরি হয়।

উপরের স্তরের উষ্ণ ও হালকা বায়ু যদি নিচের ঠান্ডা ও ভারী বায়ুর তুলনায় দ্রুতগতিতে চলে, তাহলে মেঘের ওপর ঠিক হ্রদের জলের মতো ঢেউ সৃষ্টি হয়। দ্রুত বয়ে যাওয়া বায়ু মেঘের জলীয়বাষ্পকে ওপরে তোলে, আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে তা নিচে নেমে আসে—একেবারে সৈকতের ঢেউ ভাঙার মতো।

এই মেঘ সাধারণত ট্রপোস্ফিয়ারের যেকোনো অংশে তৈরি হতে পারে, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়। তাই এমন মেঘ দেখা বা এর ছবি তোলা বিরল ঘটনা। কেলভিন–হেলমহোল্টজ মেঘকে বায়ুচঞ্চলতার নির্দেশকও বলা হয়; পাইলটরা এ ধরনের মেঘ দেখলে সাধারণত পথ পরিবর্তন করেন, কারণ এর ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।


#বিজ্ঞান_ফটোগ্রাফি #প্রবাল প্রাকৃতিক_ঘটনা #কেলভিন_#হেলমহোল্টজ #বিশ্বপ্রকৃতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট