আর্থি পাতা থেকে ইভো আমাকে বললেন যে সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল সঙ্গে যোগাযোগ করে যন্ত্রাংশ আনার ব্যবস্থা করতেন।
কুর্মিটোলার ভেতরে নির্মিত “বাসা”য় সেনাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। “বাসা”র দেয়াল ছিল বাঁশের, শুকনো খড়ের ছাদ, পাকা মেঝে। “বাসা” ও তার অধিবাসিদের দেখাশুনা করার জন্য স্থানীয়দের নিয়োগ করা হতো। “বিনি” নামক পনেরো বছরের এক ছেলে ইভো-র “বাসা” দেখাশোনার কাজ করত।

কুর্মিটোলা ঘাঁটিতে: ৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রনের এনলিস্টেড সেনাদের ক্লাব।
দায়িত্ব ছিল টেলিফোন সার্ভিস স্থাপন করা, রেডিও-কে কর্মোক্ষম রাখা এবং প্রধান। তিনি বি-২৫-এর জন্য রেডিও অ্যান্টেনা ডিজাইন করেন। তাঁর টিমের আর্নল্ড স্পিলবার্গ ছিলেন ৪৯০তম বিএস-এর যোগাযোগ/কমিউনিকেশন বার্তার প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য যোগাযোগ সিস্টেমকে কার্যক্ষম রাখা। স্মৃতির রাখতে সব সময়ই আরনল্ডের প্রচুর যন্ত্রাংশের দরকার পড়ত। যদি আর্থি পাতা থেকে ইভো আমাকে বললেন যে সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল সঙ্গে যোগাযোগ করে যন্ত্রাংশ আনার ব্যবস্থা করতেন। তার টিম, যুদ্ধকালীন সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে যন্ত্রাংশ না পেত তো নিজেই সরাসরি উৎপাদনকারীর সময়ে সীমিত উৎসের দিনগুলোতে, ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ও ভেঙে যাওয়া যন্ত্রপাতি থেকে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে সেগুলো দিয়ে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি মেরামতের এক নবরীতি চালু করেছিল।

বাম থেকে: আর্নল্ড স্পিলবার্গ, লেখক নাইম হক এবং ইভো গ্রীনওয়েল।
কুর্মিটোলার একঘেয়ে সামরিক জীবনে বৈচিত্রের আমেজ আনা কিছু ঘটনা আর্নল্ড আমাকে বলেন। দুটো নমুনা বলছি:
কুর্মিটোলার জিআই-দের কাছে “ফাদার গ্রেনার” ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। তিনি ছিলেন একজন স্থানীয় ধর্মযাজক; বাইসাইকেল চালিয়ে নিয়মিত কুর্মিটোলার ঘাঁটিতে যেতেন সাপ্তাহিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে ও সেনাদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে।
(চলবে)
নাঈম হক 

















