স্বীকৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির বদল
অনলাইন গেমিং এখন আর শুধু বিনোদন নয়—বাংলাদেশে তরুণদের জন্য এটি নতুন এক ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী ইস্পোর্টসের আয় যখন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, দেশে দ্রুত বেড়ে চলা স্ট্রিমিং সংস্কৃতি তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ে সিরিয়াস হতে। ইস্পোর্টসকে আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাধুলার মর্যাদা দেওয়ায় অনেকেই এখন堂খোলামেলাভাবে অনুশীলন করছেন, দল গঠন করছেন এবং স্ট্রিমিংয়ে যুক্ত হচ্ছেন।
তবে পথটা এখনও সহজ নয়। গেমিং রিগ বা কনসোলের উচ্চ দাম, শহরের বাইরে দুর্বল ইন্টারনেট, কোচিং বা পেশাদার প্রশিক্ষণের অভাব—সবকিছুই একধরনের বাধা। অনেক অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও গেমিং-কে “সময়ের অপচয়” বলে মনে করেন, যা নতুন প্রজন্মের যাত্রাকে ধীর করে দেয়।
তরুণদের জন্য নতুন ডিজিটাল সম্ভাবনা
বাধা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় টুর্নামেন্টগুলোতে হাজারো প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। দেশের স্ট্রিমাররা এখন আঞ্চলিক পর্যায়ের দর্শক পাচ্ছেন, আর কয়েকটি ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ দিতে শুরু করেছে। প্রয়োজন শুধু স্থিতিশীল ইন্টারনেট, সহজলভ্য সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র—তা হলে বাংলাদেশও কয়েক বছরের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্পোর্টস কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
অনেক তরুণের কাছে আকর্ষণ হলো স্বাধীনতা—স্ট্রিমিং, কনটেন্ট তৈরি এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ে আয়ের সম্ভাবনা। অংশগ্রহণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনোদন আর পেশার সীমা ক্রমেই ঝাপসা হচ্ছে। গেমিং এখন শুধু সময় কাটানোর বিষয় নয়—এটি হয়ে উঠছে নতুন ডিজিটাল পেশা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















