ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। এ বছর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৩২৬।
ঢাকা এখনও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হলেও, এবার গ্রামাঞ্চলেও আক্রান্ত বাড়ছে দ্রুত। দেরিতে চিকিৎসা, হাসপাতালের ভিড় এবং শহরের বাইরেও মশার বিস্তার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। চিকিৎসকেরা বলছেন—জ্বর বা ব্যথা শুরু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।
হাসপাতালে ভিড় ও সীমাবদ্ধতা
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরের হাসপাতালগুলোতে খালি বেড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে চিকিৎসার জন্য। বয়স্ক ও শিশু রোগীর মধ্যে জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়া মশা প্রজননের অনুকূলে থাকায় বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা—এই চাপ আরও কিছুদিন বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি দল বাড়িয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
সচেতনতা ও প্রতিরোধে জোর
বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা, পানির পাত্র ঢেকে রাখা, মশারি ও রিপেলেন্ট ব্যবহার—এসবই এখন সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ড্রেন ও জলাবদ্ধ এলাকা পরিষ্কারে নেমেছেন।
সরকার সচেতনতা কর্মসূচি ও প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা—কমিউনিটি পর্যায়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















