দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর স্পষ্ট হয়েছে—দেশের টার্নিং উইকেটেও এখন আর ভারতীয় ব্যাটারদের আধিপত্য নিশ্চিত নয়। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের কঠিন পিচ ভারতের ব্যাটিং দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
পরিস্থিতির সারাংশ
ভারত বহু বছর ধরে এমন হোম পিচ তৈরি করেছে যেখানে স্পিনাররা সুবিধা পায়। কিন্তু সেই সুবিধা এবার উল্টো ভারতের ব্যাটারদের বিপদ বাড়িয়েছে। বল হঠাৎ লাফিয়ে উঠছিল, তীব্রভাবে ঘুরছিল—ফলে দুই দলের কেউই ২০০ রান করতে পারেনি। ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার অপরাজিত ৫৫।

ভারতের ব্যাটিং ভেঙে পড়া
প্রথম ইনিংসে ঘাড়ে চোট পাওয়ায় অধিনায়ক শুভমন গিল অবসর নিতে বাধ্য হন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি। ফলে এক ব্যাটার কম নিয়েই ভারত ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায়। পুরো ম্যাচে ভারতের ১৮ উইকেটের মধ্যে ১২টিই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা। সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অফ-স্পিনার সাইমন হার্মার, যিনি ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন।
স্পিনে দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ
দর্শকরা অভ্যস্ত ভারতীয় ব্যাটারদের স্পিনের সামনে দাপট দেখাতে। এবার সেই দৃশ্য উল্টো হয়েছে। দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর পিচকে দোষ না দিয়ে ব্যাটারদের দক্ষতা ও মানসিকতার দুর্বলতাকে সামনে আনেন।
গম্ভীরের ব্যাখ্যা

গম্ভীর বলেন, “টার্নিং উইকেটে কীভাবে ব্যাট করতে হয়, সেটা জানতে হবে। মাথা ঠান্ডা রেখে দৃঢ় ডিফেন্স নিয়ে খেললে রানের সুযোগ আছে। শট খেলতে খুব সুবিধা হবে না, কিন্তু ধৈর্য ধরে স্কোর করা সম্ভব।”
এই ম্যাচে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুলের ৩৯।
চ্যাম্পিয়নশিপ অবস্থান ও পরবর্তী ম্যাচ
এই হারের ফলে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে। এবার শেষ টেস্টের আগে অনেক কিছু নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলকে।
গিলকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে ছাড়া হয়েছে, তবে ২২ নভেম্বর গুয়াহাটিতে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে তার খেলা অনিশ্চিত।
কলকাতায় তিন নম্বরে খেলেছিলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে গিল খেলতে না পারলে গুয়াহাটিতে শীর্ষক্রমে ফের সুযোগ পেতে পারেন বি সাই সুদর্শন।
#ক্রিকেট #ভারত-দক্ষিণআফ্রিকা #টেস্টসিরিজ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















