মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে প্রকাশ্যে মিছিল বের হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মিছিল চলাকালে ঠিক পেছনেই ছিল পুলিশের একটি টহল গাড়ি, যা ঘটনাটিকে আরও বিতর্কিত করে তুলেছে।
উপজেলায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রকাশ্য মিছিল
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিল বের হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা সরাসরি ব্যানার নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু। স্থানীয় সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দুই সংগঠনের বহু নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এতে অংশ নেন।
স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা
মিছিলটি বাজার এলাকার প্রধান সড়ক ধরে ঘুরে বেড়ালে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়। অনেকেই প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিল দেখে বিস্ময় ও উদ্বেগ জানান।

মিছিলে পুলিশের গাড়ি—বিতর্ক আরও বেড়েছে
মিছিলের ঠিক পেছনে পুলিশের একটি টহল গাড়িকে চলতে দেখা যায়। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন তোলে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিতর্কিত করে তোলে।
শেখ হাসিনার মামলার রায়–পরদিনের ঘটনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার পরদিনই এই হঠাৎ মিছিল হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
থানার ওসির বক্তব্য
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, মিছিল চলাকালে ডিউটিরত পুলিশের একটি টহল গাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই মিছিলকারীরা দ্রুত সরে যায়।
#tags
#মুন্সীগঞ্জ #সিরাজদিখান #যুবলীগ #ছাত্রলীগ #মিছিল #পুলিশ #রাজনীতি
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















