বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর নাজিরপুর গ্রামে ভূমিকম্পের পরপরই সন্ধ্যা নদীর তীর ভেঙে ব্যবসায়ী আবু বকর ঘরামীর বসতবাড়ি, গাছপালা আর ২০–৬০ শতাংশের মতো জমি মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
পরিবার জানায়, ঘরটি নদীর খুব কাছেই ছিল; কিছুদিনের মধ্যে সরানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পর থেকে খসে পড়তে থাকা মাটি দেখতে-দেখতেই পুরো ঘরভিটা নদীতে চলে যায়।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এক ঝটকায় শেষ আশ্রয় হারিয়ে তারা এখন আত্মীয়ের বাড়ি ও আশপাশের মানুষের ঘরে আশ্রিত।
প্রতি বছর অক্টোবর–নভেম্বরেই সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তীব্র হয়; এবার ভূমিকম্পের অতিরিক্ত চাপ পড়ায় ভাঙনের গতি আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসন প্রাথমিক তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে, তবে টেকসই বাঁধ ও সুরক্ষা ছাড়া নদীর ভাঙন বন্ধ হবে না বলে মনে করেন নদী–গবেষকরা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















