মানিকগঞ্জে বাউল আবুল সরকার মহারাজকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তাঁর সমর্থক ও বিরোধী গোষ্ঠীর মুখোমুখি অবস্থান থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংস ঘটনায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
উত্তেজনার সূত্রপাত
একই দিনে পৃথক দুটি কর্মসূচি ঘোষণার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এক পক্ষ আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করে, অন্যদিকে তাওহিদি জনতা সমর্থিত আল্লামা-ওলামা গোষ্ঠী প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। দুই পক্ষের এই মুখোমুখি অবস্থান থেকেই সংঘর্ষের জন্ম হয়।
আহতদের পরিচয়
সংঘর্ষে আহত চারজনের মধ্যে তিনজন বাউল আবুল সরকারের অনুসারী—
১. শিবালয়ের সাঙ্করাইল গ্রামের আব্দুল আলিম
২. হরিরামপুরের ঝিটকা এলাকার জহুরুল
৩. সিঙ্গাইরের তালেবপুরের আরিফুল ইসলাম
এ ছাড়া তাওহিদি জনতার পক্ষের মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিমও আহত হন।
আহত সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনা
রবিবার সকাল ৯টার দিকে পৌর এলাকার দাক্ষিণ সেওতা এলাকায় উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বাউল সমর্থকরা মানববন্ধন করছিলেন, আর অন্য পক্ষ আল্লামা-ওলামা ও তাওহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
পুলিশের ভূমিকা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আইনগত প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পটভূমি
৪ নভেম্বর ঘিওর উপজেলার জাবড়া এলাকার খালা পাগলি মেলায় এক অনুষ্ঠানে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
পরবর্তীতে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
১৯ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরের একটি সংগীতানুষ্ঠান থেকে মানিকগঞ্জ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরদিন সকালে তাঁকে জেলা ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
সেদিন দুপুরে ঘিওর থানায় মুফতি মো. আব্দুল্লাহ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর আদালতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবুল সরকারকে কারাগারে পাঠানো হয়।
#tags: মানিকগঞ্জ সংঘর্ষ বাউল আবুল সরকার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত গ্রেপ্তার সহিংসতা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















