বাংলাদেশে এখন স্মার্টফোন শুধুই কিনলেই শেষ নয়; সেটি নেটওয়ার্কে চালাতে হলে ফোনের IMEI নম্বরটি জাতীয় ডেটাবেইসে নিবন্ধিত থাকা বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়াটি করা হয় বিটিআরসি পরিচালিত NEIR পোর্টালের মাধ্যমে। বিদেশে কিংবা দেশে কেনা সব ফোনই বৈধভাবে নেটওয়ার্কে চলবে যদি সঠিকভাবে রেজিস্টার করা থাকে।
IMEI কেন জরুরি
প্রতিটি মোবাইল ফোন সেটের একটি ইউনিক নম্বর থাকে—এটাই IMEI। এর মাধ্যমে বোঝা যায় ফোনটি বৈধ কিনা, কোথা থেকে এসেছে এবং সেটটি নকল বা ক্লোন কি না। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, চুরি হওয়া ফোন ট্র্যাকিং, নকল সেট শনাক্ত করা এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুতেই IMEI গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার ফোন আগে থেকেই রেজিস্টার্ড কি না, কীভাবে জানবেন
IMEI বের করুন: ফোনে *#06# ডায়াল করলে IMEI দেখা যাবে।
স্ট্যাটাস যাচাই:
– মোবাইল থেকে *16161# ডায়াল করে IMEI দিয়ে বৈধতা চেক করা যায়।
– বিকল্পভাবে KYD IMEI লিখে 16002 নম্বরে এসএমএস পাঠালে স্ট্যাটাস জানিয়ে দেওয়া হয়।
“Valid/Registered” হলে সেট আগে থেকেই সিস্টেমে আছে।
“Not Registered/Illegal” হলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
NEIR পোর্টালে নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করার ধাপ
১) neir.btrc.gov.bd–এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন
২) ড্যাশবোর্ডে Special Registration–এ যান
৩) ফোনের IMEI, ব্র্যান্ড, মডেল এবং কেনার ধরন দিন
৪) জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট, ক্রয় রশিদ বা বিদেশ থেকে আনা হলে ভ্রমণসংক্রান্ত কাগজপত্র আপলোড করুন
৫) আবেদন সাবমিট করে স্ট্যাটাস ট্র্যাক করুন — Approved / Pending / Rejected
রেজিস্ট্রেশন না করলে ঝুঁকি কী
- • অবৈধ বা ক্লোন IMEI–এর ফোন ধাপে ধাপে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে
- • নতুন করে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া অনিবন্ধিত ফোনে হঠাৎ সিগনাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে
- • ফোন চুরি হলে মালিকানা প্রমাণে সমস্যা হতে পারে
- • ভবিষ্যতে ইনস্যুরেন্স বা ওয়ারেন্টি দাবি করা কঠিন হয়ে যেতে পারে
কী মনে রাখবেন
– অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরের ফোন সাধারণত আগেই নিবন্ধিত থাকে
– বিদেশ থেকে আনা বা উপহার পাওয়া ফোন অবশ্যই যাচাই করে নিন
– রেজিস্ট্রেশন শুরু করার আগে NEIR-এর সর্বশেষ নির্দেশনা দেখে নিন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















