জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নিয়ে দ্বিধায় জাকার্তা
ইন্দোনেশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিম জাভার ক্রেবন–১ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে বন্ধ করার পরিকল্পনা থেকে তারা সরে আসার পথে। এই কেন্দ্রটি ছিল জি–৭ সমর্থিত ‘জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন পার্টনারশিপ’ বা জেটিপি উদ্যোগের একটি প্রতীকী প্রকল্প, যার মাধ্যমে ধীরে ধীরে কয়লা থেকে সরে গিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে চেয়েছিল জাকার্তা। আগে পরিকল্পনা ছিল, ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্রেবন প্লান্ট বন্ধ হয়ে যাবে—এর আনুষ্ঠানিক আয়ুষ্কালের চেয়ে সাত বছর আগে। এখন দেশটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তুলনামূলক নতুন ও ‘ক্লিন কোল টেকনোলজি’–নির্ভর এই ধরনের কেন্দ্র আগে বন্ধ না করে বরং পুরনো ও বেশি দূষণকারী ইউনিট আগে অবসরে পাঠানোই বাস্তবসম্মত।
![Dólar à vista [chevron_left]brby[chevron_right] sobe 0,15%, a r$5,3993 na venda, nos primeiros negócios do dia | Reuters](https://www.reuters.com/resizer/v2/MHG23WQZTBOMNJQEQ63C3U42BA.jpg?auth=86d70463298b5736467ad6032cfa684ac4213d9ea1849272359f455e3ce2ce96&width=5500&quality=80)
এই অবস্থান বদল দেখাচ্ছে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি আর স্থানীয় রাজনীতি ও বিদ্যুৎ–অর্থনীতির বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান কতটা বড়। ইন্দোনেশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, অপেক্ষাকৃত আধুনিক প্লান্টগুলো খুব দ্রুত বন্ধ করে দিলে সরকারকে বিদ্যুতের ভর্তুকি আরও বাড়াতে হতে পারে, পাশাপাশি গ্রিড আপগ্রেডের অতিরিক্ত ব্যয়ও চাপবে। অন্যদিকে জেটিপি–সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ইতোমধ্যে ২১ বিলিয়নের বেশি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার অংশ হিসেবে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ, সুলাওয়েসিতে ট্রান্সমিশন লাইন এবং দক্ষিণ সুমাত্রায় বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো উদ্যোগ অপেক্ষায় রয়েছে। পরিবেশবাদীরা সতর্ক করছেন, ‘ক্লিন কোল’ নামের প্রযুক্তিভিত্তিক প্লান্টগুলোর আয়ু দীর্ঘায়িত করলে ২০৩৫–এর পরও এগুলোর নির্গমন ধরে রাখতে হবে, যা ২০৬০ সালের মধ্যে নেট–জিরো লক্ষ্য পূরণকে আরো কঠিন করে দেবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তাটি হলো—এ ধরনের আগাম অবসর প্রকল্প এখন থেকে দ্রুত ও একধরনের ফরমুলা নয়, বরং ধীরে ধীরে, কেন্দ্রভিত্তিক আলোচনার ফলেই এগোবে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















