নেতা ইয়াসের আবু শাবাব নিহত, ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক পরিকল্পনা প্রশ্নে
দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েল-সমর্থিত ‘পপুলার ফোর্সেস’ মিলিশিয়ার প্রধান ইয়াসের আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। সংগঠনটি নিশ্চিত করেছে যে বুধবার তিনি একটি পারিবারিক বিবাদ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হন। ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ থেকে ঘটেছে।
ইসরায়েল তাকে উদ্ধার করে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হামাসবিরোধী শক্তি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা

মাত্র ত্রিশের কোঠায় থাকা আবু শাবাব ইসরায়েলের সহায়তায় গাজার দক্ষিণে ধীরে ধীরে নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছিলেন। ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল তার নেতৃত্বে একটি বিকল্প প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলে হামাসের প্রভাব কমানো।
হামাস বহু আগেই তাকে “দালাল” ঘোষণা করেছিল। তবে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেনি। বরং বলছে, “যে কেউ জনগণ ও মাতৃভূমিকে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার পরিণতি এমনই।” ইসরায়েল-সমর্থিত ‘পপুলার ফোর্সেস’ দাবি করেছে, হামাস হত্যায় জড়িত নয় এবং “দুর্বল হামাস তাকে হত্যা করার সক্ষমতাই রাখে না।”
গাজায় পুনর্গঠন পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা

ইসরায়েল পরিকল্পনা করেছিল আবু শাবাবের দলকে ব্যবহার করে গাজায় পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো সুরক্ষিত করা এবং কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে সহায়তা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখা। তার মৃত্যুতে এসব পরিকল্পনা বড় ধরনের বাধায় পড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
মাঠপর্যায়ে পাওয়া ছবি ও বার্তায় দেখা গেছে, গাজার কিছু বাসিন্দা তার মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবিতে লাল ‘X’ এঁকে তাকে “শূকর” লেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলের ‘গ্যাং স্ট্র্যাটেজি’ বিতর্কে
ইসরায়েল গাজার ভেতরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এসব গোষ্ঠীকে “ভালো উদ্যোগ” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক বিরোধীরা এসব দলকে “গাজায় আইএসআইএসের সমতুল্য” বলে তীব্র সমালোচনা করেছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই এসব গোষ্ঠীকে অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলেও নিশ্চিত করেছেন একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















