ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতভর অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা জানাচ্ছেন—প্রস্তাবিত কাঠামোতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয় ‘শিক্ষা ভবন’-এর সামনে রোববার দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। বিকাল ৩টায় তারা হাইকোর্টের মোড় অবরোধ করেন। পরে সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। রাত ১০টায়ও তাদের কর্মসূচি চলছিল।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় হাইকোর্টের মোড় ছেড়ে দিলেও অবস্থান চলবে। রাতেও তারা একই জায়গায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হন এবং মিছিলসহকারে শিক্ষা ভবনে পৌঁছান।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত কাঠামোকে ঘিরে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে বিভক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। কেউ বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো সমর্থন করলেও কেউ বলছেন, এতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য ক্ষুণ্ন হতে পারে।

গত সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে। সেখানে সাত কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোয় রূপান্তরের কথা বলা হয়। প্রস্তাবে উচ্চমাধ্যমিক পাঠদান বহাল রাখার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা মনে করছেন—এই কাঠামো তাদের পদোন্নতির মতো অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তারা ‘অধিভুক্তিমূলক’ কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলেছেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে অনার্স-মাস্টার্স ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষার্থী ‘স্কুলিং’ মডেলের বিরোধিতা করছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধ্যাদেশ সংশোধনের কাজ চলছে; তবে প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ।
#Education
#Dhaka
#SevenColleges
#StudentsMovement
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















