প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেপথ্যের শক্তি ‘এআই স্থপতি’দেরকেই ২০২৫ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ঘোষণা করেছে টাইম ম্যাগাজিন।
এআই যুগে নেতৃত্বদাতা নতুন নায়করা
টাইম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি অঙ্গনের এই প্রভাবশালীরা মানবসভ্যতার পথরেখা বদলে দিচ্ছেন। এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং, ওপেনএআইয়ের স্যাম অল্টম্যান ও এক্সএআইয়ের ইলন মাস্কসহ এসব উদ্যোক্তা সরকারকে নীতি নির্ধারণে পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করেছেন, বিশ্বশক্তির প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এবং ঘরে ঘরে রোবট ঢুকিয়ে দিয়েছেন। টাইমের ভাষায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন পরমাণু অস্ত্র আবিষ্কারের পর ক্ষমতাশালী দেশগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবচেয়ে নির্ধারক হাতিয়ার।
আইকনিক কভারে প্রযুক্তি নেতাদের প্রতীকী উপস্থিতি
টাইমের একটি বিশেষ কভার পুনর্নির্মাণ করেছে বিখ্যাত ১৯৩২ সালের নিউইয়র্কের আকাশচুম্বী ভবনের বিমে বসে দুপুরের খাবার খাওয়া শ্রমিকদের দৃশ্য। শিল্পীর আঁকা এই কভারে মার্ক জাকারবার্গ, লিসা সু, মাস্ক, হুয়াং, অল্টম্যান, ডেমিস হাসাবিস, দারিও আমোদেই ও ফেই-ফেই লি বসে আছেন শহরের ওপর, যেন নতুন প্রযুক্তি সাম্রাজ্যের নির্মাতা।

এআই ব্যবহারের বিস্ফোরণ আর ভবিষ্যতের অর্থনীতি
টাইম জানায়, ২০২৫ সালেই এআই সম্ভাবনা থেকে বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের হার দ্বিগুণ হয়ে বিশ্ব জনসংখ্যার দশ শতাংশে পৌঁছেছে। হুয়াং ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এআই বিশ্বের অর্থনীতি একশ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে পাঁচশ ট্রিলিয়ন ডলারে তুলে নিতে পারে। তাঁর ভাষায়, এটি আমাদের সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তি।
আলোচনার পাশাপাশি অন্ধকার দিকও স্পষ্ট
এআই এর ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে টাইম। এ বছর কিশোর আত্মহত্যা ও মানসিক সংকটে চ্যাটবটের ভূমিকা নিয়ে মামলা হয়েছে। একইসঙ্গে বহু প্রতিষ্ঠান মানবকর্মী বাদ দিয়ে কাজ স্বয়ংক্রিয় করতে দৌড়াচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ কর্মবাজারে বড় ধাক্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















