০৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় ড. ইউনূস চাইলে সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে সাংবাদিক আনিস আলমগীর বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য নতুন নিরাপত্তা সতর্কতা জারি টানা পতনে আতঙ্ক: দ্বিতীয় দিনেও লাল পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারীদের আস্থা নড়বড়ে আগে গ্রেপ্তার, পরে মামলা: সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অভিযোগ ফ্যাসিবাদী অতীতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা হলে জাতি ক্ষমা করবে না: জামায়াত আমির ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে পালিয়েছে কি না, নিশ্চিত নয় বিজিবি সরকার ভারতের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনছে

এআই ইমেজ জেনারেটর ‘খারাপ’ হয়েই কীভাবে আরও কার্যকর হচ্ছে

নতুন মানদণ্ড: নিখুঁত না, নমনীয়

এআই ইমেজ টুলগুলোকে এখন শুধু কতটা বাস্তবসম্মত বা কতটা ‘শার্প’ ছবি তৈরি করে—এভাবে বিচার করা হচ্ছে না। নতুন আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে, মডেলটি অস্পষ্ট নির্দেশনা, স্টাইলের ওঠানামা, এবং নিয়ন্ত্রিত ‘অসম্পূর্ণতা’ কতটা সামলাতে পারে। যুক্তিটা উল্টো শোনালেও বাস্তবতা হলো—যে সিস্টেম সবসময় চকচকে নিখুঁত আউটপুট দিতে চায়, সেটি অনেক সময় একইরকম ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে; আর যে সিস্টেম ইচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা অপ্রত্যাশিত, ‘ইউজফুললি রং’ আউটপুট দিতে পারে, সেটি সৃজনশীল কাজে বেশি সহায়ক হতে পারে। কারণ, বাস্তবে ডিজাইন বা কনটেন্ট টিমের প্রয়োজন হয় ভ্যারিয়েশন—একটাই ‘সেরা’ ছবি নয়।

AI image generators are getting better by getting worse | dera | dera

অনেক সময় ব্যবহারকারী এমন কিছু চাইেন যা বাস্তবে নেই—ভিন্ন যুগ মেশানো, কল্পনার শহর, বা কেবল একটি ‘মুড’। এখানে ফটো-রিয়াল ডিটেইল যতটা জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি হয় অস্পষ্ট নির্দেশনা বুঝে একাধিক সম্ভাব্য পথ দেখানো। স্রষ্টাদের কেউ কেউ বলেন, সবচেয়ে ফলপ্রসূ মুহূর্ত আসে তখনই যখন মডেলটি একটু চমক দেয়—যাকে পরে এডিট করে, বেছে নিয়ে, ধাপে ধাপে উন্নত করা যায়।

ব্যর্থতার ধরনও কেন ‘ফিচার’ হতে পারে

এর মানে এই নয় যে মানুষ ভাঙা টুল চায়। বরং কিছু ‘ব্যর্থতার ধরন’কে কাজে লাগানো যায়—আউটপুটের সামান্য অসামঞ্জস্য নতুন কম্পোজিশন আইডিয়া দেয়, ছোটখাটো আর্টিফ্যাক্ট ভিজ্যুয়াল সিদ্ধান্ত বদলাতে সাহায্য করে, আর স্টাইলের ‘ভুল’ এমন বিকল্প খুলে দেয় যা মানুষ প্রথমে ভাবেনি। সৃজনশীল কাজের লক্ষ্য অনেক সময় প্রথম চেষ্টাতেই ফাইনাল নয়; লক্ষ্য হয় এমন একটি শক্ত ড্রাফট যা ইটারেশনকে সহজ করে। ফলে জেনারেশনকে এখন অনেকেই ‘স্কেচিং স্টেজ’ হিসেবে ব্যবহার করছে—জেনারেট, কিউরেট, রিমিক্স, তারপর রিফাইন।

I heard AI art generators are getting worse because their feeding on AI art  and cannibalizing itself. It's called model collapse!" : r/DefendingAIArt

তবে ‘আরও খারাপ’ হওয়ার এই ধারা ঝুঁকিও বাড়ায়। যদি মডেলকে বেশি ক্যাওটিক করা হয়, তখন অনাকাঙ্ক্ষিত বিকৃতি, পরিচয় বিভ্রান্তি, বা নির্দেশনা থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপন, নিউজরুম—যেখানে ধারাবাহিকতা জরুরি—সেখানে এই অনিশ্চয়তা বড় সমস্যা হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তা ও মডারেশনও জটিল হয়; কারণ অদ্ভুত, সীমা-ধাক্কা দেওয়া আউটপুটকে শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত বাজার সম্ভবত ভাগ হবে। কিছু পণ্য সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা দেবে—পরিচ্ছন্ন, প্রম্পট-ম্যাচিং, ব্র্যান্ড-সেফ ভিজ্যুয়াল। আর কিছু পণ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ‘এক্সপ্লোরেটরি ক্রিয়েটিভিটি’কে প্রাধান্য দেবে—যেখানে নিয়ন্ত্রিত অদ্ভুততা বিক্রির মূল আকর্ষণ। সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—‘ভালো’ মানে এখন একটাই নয়; কাজের ধরন, ব্যবহারকারীর চাহিদা, এবং ভুলের খরচ—এসবের ওপর নির্ভর করে ‘সঠিক’ মডেল বদলে যাবে।

Research shows AI image generators could be their own demise | Creative Bloq

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের

এআই ইমেজ জেনারেটর ‘খারাপ’ হয়েই কীভাবে আরও কার্যকর হচ্ছে

০৫:০০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নতুন মানদণ্ড: নিখুঁত না, নমনীয়

এআই ইমেজ টুলগুলোকে এখন শুধু কতটা বাস্তবসম্মত বা কতটা ‘শার্প’ ছবি তৈরি করে—এভাবে বিচার করা হচ্ছে না। নতুন আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে, মডেলটি অস্পষ্ট নির্দেশনা, স্টাইলের ওঠানামা, এবং নিয়ন্ত্রিত ‘অসম্পূর্ণতা’ কতটা সামলাতে পারে। যুক্তিটা উল্টো শোনালেও বাস্তবতা হলো—যে সিস্টেম সবসময় চকচকে নিখুঁত আউটপুট দিতে চায়, সেটি অনেক সময় একইরকম ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে; আর যে সিস্টেম ইচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা অপ্রত্যাশিত, ‘ইউজফুললি রং’ আউটপুট দিতে পারে, সেটি সৃজনশীল কাজে বেশি সহায়ক হতে পারে। কারণ, বাস্তবে ডিজাইন বা কনটেন্ট টিমের প্রয়োজন হয় ভ্যারিয়েশন—একটাই ‘সেরা’ ছবি নয়।

AI image generators are getting better by getting worse | dera | dera

অনেক সময় ব্যবহারকারী এমন কিছু চাইেন যা বাস্তবে নেই—ভিন্ন যুগ মেশানো, কল্পনার শহর, বা কেবল একটি ‘মুড’। এখানে ফটো-রিয়াল ডিটেইল যতটা জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি হয় অস্পষ্ট নির্দেশনা বুঝে একাধিক সম্ভাব্য পথ দেখানো। স্রষ্টাদের কেউ কেউ বলেন, সবচেয়ে ফলপ্রসূ মুহূর্ত আসে তখনই যখন মডেলটি একটু চমক দেয়—যাকে পরে এডিট করে, বেছে নিয়ে, ধাপে ধাপে উন্নত করা যায়।

ব্যর্থতার ধরনও কেন ‘ফিচার’ হতে পারে

এর মানে এই নয় যে মানুষ ভাঙা টুল চায়। বরং কিছু ‘ব্যর্থতার ধরন’কে কাজে লাগানো যায়—আউটপুটের সামান্য অসামঞ্জস্য নতুন কম্পোজিশন আইডিয়া দেয়, ছোটখাটো আর্টিফ্যাক্ট ভিজ্যুয়াল সিদ্ধান্ত বদলাতে সাহায্য করে, আর স্টাইলের ‘ভুল’ এমন বিকল্প খুলে দেয় যা মানুষ প্রথমে ভাবেনি। সৃজনশীল কাজের লক্ষ্য অনেক সময় প্রথম চেষ্টাতেই ফাইনাল নয়; লক্ষ্য হয় এমন একটি শক্ত ড্রাফট যা ইটারেশনকে সহজ করে। ফলে জেনারেশনকে এখন অনেকেই ‘স্কেচিং স্টেজ’ হিসেবে ব্যবহার করছে—জেনারেট, কিউরেট, রিমিক্স, তারপর রিফাইন।

I heard AI art generators are getting worse because their feeding on AI art  and cannibalizing itself. It's called model collapse!" : r/DefendingAIArt

তবে ‘আরও খারাপ’ হওয়ার এই ধারা ঝুঁকিও বাড়ায়। যদি মডেলকে বেশি ক্যাওটিক করা হয়, তখন অনাকাঙ্ক্ষিত বিকৃতি, পরিচয় বিভ্রান্তি, বা নির্দেশনা থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপন, নিউজরুম—যেখানে ধারাবাহিকতা জরুরি—সেখানে এই অনিশ্চয়তা বড় সমস্যা হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তা ও মডারেশনও জটিল হয়; কারণ অদ্ভুত, সীমা-ধাক্কা দেওয়া আউটপুটকে শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত বাজার সম্ভবত ভাগ হবে। কিছু পণ্য সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা দেবে—পরিচ্ছন্ন, প্রম্পট-ম্যাচিং, ব্র্যান্ড-সেফ ভিজ্যুয়াল। আর কিছু পণ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ‘এক্সপ্লোরেটরি ক্রিয়েটিভিটি’কে প্রাধান্য দেবে—যেখানে নিয়ন্ত্রিত অদ্ভুততা বিক্রির মূল আকর্ষণ। সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—‘ভালো’ মানে এখন একটাই নয়; কাজের ধরন, ব্যবহারকারীর চাহিদা, এবং ভুলের খরচ—এসবের ওপর নির্ভর করে ‘সঠিক’ মডেল বদলে যাবে।

Research shows AI image generators could be their own demise | Creative Bloq