শহরেই নতুন আবাস
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বড় বড় শহরে শেয়াল ও কায়োটের উপস্থিতি বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, এরা শুধু টিকে থাকছে না—অনেক ক্ষেত্রে ভালোভাবেই বেড়ে উঠছে। খাদ্যের সহজলভ্যতা ও তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতা শহরকে তাদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন শহরে দেখা মিলছে এদের। হঠাৎ মুখোমুখি হলে বাসিন্দারা চমকে উঠলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ প্রাণী মানুষ এড়িয়ে চলে এবং বিরক্ত না করলে ঝুঁকি কম। এটি দেখায়, খণ্ডিত আবাসেও বন্যপ্রাণী কীভাবে মানিয়ে নিতে পারে।
এই প্রবণতা শহর কর্তৃপক্ষকে নির্মূল নয়, সহাবস্থানের কৌশল ভাবতে বাধ্য করছে।

কেন শহর কিছু প্রজাতির জন্য উপযোগী
শহরে খাদ্যের উৎস স্থিতিশীল—ইঁদুর থেকে শুরু করে বর্জ্য পর্যন্ত। বড় শিকারির অভাবও সুবিধা। পার্ক, রেললাইন, নদীর পাড়—এসব মিলিয়ে এক ধরনের অনানুষ্ঠানিক বন্যপ্রাণী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। নমনীয় খাদ্যাভ্যাস ও আচরণ শেয়াল ও কায়োটকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
জলবায়ু পরিবর্তনও ভূমিকা রাখছে। শিকারের ধরণ বদলাচ্ছে, নতুন এলাকায় সরে যেতে হচ্ছে প্রাণীদের। শহর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্য ও নির্মিত পরিবেশের সীমা আরও ঝাপসা হচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, এরা ইকোসিস্টেমে ভূমিকা রাখে—বিশেষ করে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে।
সহাবস্থাপনার ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের পরামর্শ সহজ: আবর্জনা নিরাপদে রাখা, বন্যপ্রাণীকে খাবার না দেওয়া, এবং বাসিন্দাদের সচেতন করা। প্রাণী হত্যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়, কারণ খালি জায়গা দ্রুত নতুন প্রাণী দখল করে।
জনমত সামলানোও বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ শহুরে বন্যপ্রাণীকে স্বাগত জানায়, কেউ ভয় পায়। তথ্যভিত্তিক নীতি ও স্পষ্ট যোগাযোগই সংঘাত কমাতে পারে।
শহরের শেয়াল ও কায়োটের উত্থান আসলে আগ্রাসনের গল্প নয়; এটি অভিযোজনের গল্প—যেখানে প্রকৃতি মানুষের পরিবর্তনে দ্রুত সাড়া দেয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















