কুয়েত তার অবকাঠামো উন্নয়নের পথে আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিল। চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চারশ দশ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে দেশটি বুবিয়ান দ্বীপে মিনা মুবারক আল কাবীর বন্দর উন্নয়নের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পকে কুয়েতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চুক্তি সই ও প্রকল্পের লক্ষ্য
কুয়েত বার্তা সংস্থার তথ্য মতে, চুক্তিতে সই করেন দেশটির গণপূর্তমন্ত্রী নোরা আল মাশান এবং চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানির উপ চেয়ারম্যান চেন ঝং। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বন্দর নির্মাণ, সরঞ্জাম সরবরাহ ও প্রকৌশল কাজ সম্পন্ন হবে। কুয়েত সরকার আশা করছে, নতুন এই বন্দর দেশটির পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ আবদুল্লাহ আল আহমদ আল সাবাহ বলেন, কুয়েত ও চীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধন, পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মতে, দুই দেশের নেতৃত্বের দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা ও যৌথ সহযোগিতার মানসিকতাই এই সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্তরে নিয়ে যাচ্ছে।
অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, মিনা মুবারক আল কাবীর বন্দর কুয়েতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি হবে। এই বন্দর চালু হলে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে কুয়েতের ভূমিকা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে দেশটির অবস্থান আরও মজবুত হবে। একই সঙ্গে অর্থনীতির বহুমুখীকরণ, জাতীয় আয় বৃদ্ধি এবং মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

নতুন কুয়েত ভাবনা ও চীনের উদ্যোগ
গণপূর্তমন্ত্রী নোরা আল মাশান জানান, এই বন্দর প্রকল্প কুয়েতের সামুদ্রিক পরিবহন অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং বন্দরের কার্যক্ষমতা ও ধারণক্ষমতা বাড়াবে। তিনি বলেন, এটি কুয়েত ও চীনের মধ্যে গঠনমূলক সহযোগিতার একটি ভিত্তিপ্রস্তর। এদিকে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াং জানান, এই চুক্তি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখা হয়।
উচ্চপর্যায়ের উপস্থিতি
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কুয়েতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল সাবাহ, উপপ্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শরিদা আল মউশেরজি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রধান আবদুলআজিজ দখিল আল দখিলসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















