শীতের তীব্রতা আর ঘন কুয়াশায় বৃহস্পতিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশের বড় অংশের জনজীবন। ভোর থেকে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়ক ও নৌপথে চলাচল ব্যাহত হয়। নদীতে একাধিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা নেমে আসে মৌসুমি সর্বনিম্নে। কুয়াশায় ঢেকে যায় নদী ও মহাসড়ক। সকালে অফিসগামী মানুষ, পণ্য পরিবহন এবং দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
নদীতে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হতাহত বহু

ভোররাতে মেঘনা নদীতে একাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু যাত্রী। প্রাথমিকভাবে ঘন কুয়াশাকেই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি লঞ্চের সঙ্গে বালুবাহী বার্জের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে। কুয়াশার কারণে নদীপথে ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
ফেরি চলাচল বন্ধ, রাজধানীতেও ভোগান্তি

ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া ও আরিচা–কাজিরহাটসহ গুরুত্বপূর্ণ ফেরি রুটে চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এতে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে, পণ্য পরিবহনেও বিলম্ব ঘটে।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকা—সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরে—সকালের দিকে যান চলাচল ধীরগতির ছিল। একই অবস্থা দেখা গেছে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলেও। শীত ও কুয়াশা সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার প্রভাব আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নৌ ও সড়ক চলাচলে।
-69486d28ebc57.jpg)
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















