০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে

ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা

জ্বালানি অবকাঠামোকে চাপের লক্ষ্য

ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের ড্রোন রাশিয়ার ওরেনবুর্গ অঞ্চলে একটি বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় আঘাত করেছে, যা দেশটির জ্বালানি সরবরাহ ও শিল্প ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। কিয়েভের এই দাবি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন দূরপাল্লার হামলা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা উৎপাদন ও লজিস্টিক নেটওয়ার্কে চাপ বাড়ানোর প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে—তা নিয়ে রাশিয়া পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়নি।

ওরেনবুর্গের এই ধরনের কারখানাগুলো কাঁচা গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ, স্থিতিশীল উৎপাদন বজায় রাখা এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিতরণে পাঠানোর কাজে যুক্ত থাকে। এ ধরনের কেন্দ্রে সাময়িক বিঘ্নও ধারাবাহিক প্রভাব ফেলতে পারে। বিকল্প পথে সরবরাহ ঘোরাতে খরচ বাড়ে, উৎপাদন সাময়িক কমে যেতে পারে, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হয়। এমনকি দ্রুত কাজ স্বাভাবিক হলেও, বারবার হামলার আশঙ্কায় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার সিদ্ধান্ত আরও জটিল হয়ে ওঠে।

Ukraine's 'De-Naftafication' of Russia (Part One) - Jamestown

শীতকালীন চাহিদা ও উত্তেজনার নতুন মাত্রা

শীতকালে জ্বালানি চাহিদা সাধারণত বেশি থাকে, আর এই সময়ে বড় স্থাপনায় মেরামত ও পুনরুদ্ধারের সময়ও সীমিত। ইউক্রেনের দৃষ্টিতে জ্বালানি-সংযুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত রাশিয়ার আর্থিক সক্ষমতা এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ‘সাপোর্ট সিস্টেম’-এ চাপ তৈরি করতে পারে। রাশিয়ার দৃষ্টিতে এসব হামলা আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার এবং পাল্টা পদক্ষেপের যুক্তি শক্ত করতে পারে, যার মধ্যে ইউক্রেনের অবকাঠামোও ঝুঁকিতে পড়ে।

কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে—রাশিয়ার জ্বালানি ও শিল্প নেটওয়ার্ক যুদ্ধ চালানোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই অবস্থান আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের দিকেও একটি বার্তা দেয়: হামলার পরিসর বাড়ছে, এবং ভৌগোলিক দূরত্ব সবসময় সুরক্ষা নিশ্চিত করছে না। তবে ঝুঁকিও আছে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে বেসামরিক জীবন-জীবিকা জড়িত থাকে, ফলে সংঘাতের তীব্রতা বাড়লে মানবিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও বড় হতে পারে।

Exclusive: Ukraine drone attack on Russian gas plant hits Kazakh output,  sources say | Reuters

তাৎক্ষণিক ক্ষতির বাইরে বড় প্রভাবটি হলো অনিশ্চয়তা। কোম্পানি, আঞ্চলিক প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ধরে নিতে হয়—একবার আঘাতের পর আবারও চেষ্টা হতে পারে। ফলে অপারেশন পরিকল্পনা বদলাতে হয়, নিরাপত্তা বাড়াতে হয়, এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে দুশ্চিন্তা দীর্ঘায়িত হয়। পর্যবেক্ষকেরা খেয়াল করছেন—এ ধরনের হামলা কি নির্দিষ্ট করিডোর ও হাবকে কেন্দ্র করে বাড়ছে, নাকি সুযোগসন্ধানীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

Russian oil refinery near Ukraine says it was hit by drone attack

জনপ্রিয় সংবাদ

শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং

ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা

১২:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জ্বালানি অবকাঠামোকে চাপের লক্ষ্য

ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের ড্রোন রাশিয়ার ওরেনবুর্গ অঞ্চলে একটি বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় আঘাত করেছে, যা দেশটির জ্বালানি সরবরাহ ও শিল্প ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। কিয়েভের এই দাবি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন দূরপাল্লার হামলা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা উৎপাদন ও লজিস্টিক নেটওয়ার্কে চাপ বাড়ানোর প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে—তা নিয়ে রাশিয়া পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়নি।

ওরেনবুর্গের এই ধরনের কারখানাগুলো কাঁচা গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ, স্থিতিশীল উৎপাদন বজায় রাখা এবং পরবর্তী পর্যায়ে বিতরণে পাঠানোর কাজে যুক্ত থাকে। এ ধরনের কেন্দ্রে সাময়িক বিঘ্নও ধারাবাহিক প্রভাব ফেলতে পারে। বিকল্প পথে সরবরাহ ঘোরাতে খরচ বাড়ে, উৎপাদন সাময়িক কমে যেতে পারে, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হয়। এমনকি দ্রুত কাজ স্বাভাবিক হলেও, বারবার হামলার আশঙ্কায় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার সিদ্ধান্ত আরও জটিল হয়ে ওঠে।

Ukraine's 'De-Naftafication' of Russia (Part One) - Jamestown

শীতকালীন চাহিদা ও উত্তেজনার নতুন মাত্রা

শীতকালে জ্বালানি চাহিদা সাধারণত বেশি থাকে, আর এই সময়ে বড় স্থাপনায় মেরামত ও পুনরুদ্ধারের সময়ও সীমিত। ইউক্রেনের দৃষ্টিতে জ্বালানি-সংযুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত রাশিয়ার আর্থিক সক্ষমতা এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ‘সাপোর্ট সিস্টেম’-এ চাপ তৈরি করতে পারে। রাশিয়ার দৃষ্টিতে এসব হামলা আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার এবং পাল্টা পদক্ষেপের যুক্তি শক্ত করতে পারে, যার মধ্যে ইউক্রেনের অবকাঠামোও ঝুঁকিতে পড়ে।

কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে—রাশিয়ার জ্বালানি ও শিল্প নেটওয়ার্ক যুদ্ধ চালানোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই অবস্থান আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের দিকেও একটি বার্তা দেয়: হামলার পরিসর বাড়ছে, এবং ভৌগোলিক দূরত্ব সবসময় সুরক্ষা নিশ্চিত করছে না। তবে ঝুঁকিও আছে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে বেসামরিক জীবন-জীবিকা জড়িত থাকে, ফলে সংঘাতের তীব্রতা বাড়লে মানবিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও বড় হতে পারে।

Exclusive: Ukraine drone attack on Russian gas plant hits Kazakh output,  sources say | Reuters

তাৎক্ষণিক ক্ষতির বাইরে বড় প্রভাবটি হলো অনিশ্চয়তা। কোম্পানি, আঞ্চলিক প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ধরে নিতে হয়—একবার আঘাতের পর আবারও চেষ্টা হতে পারে। ফলে অপারেশন পরিকল্পনা বদলাতে হয়, নিরাপত্তা বাড়াতে হয়, এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে দুশ্চিন্তা দীর্ঘায়িত হয়। পর্যবেক্ষকেরা খেয়াল করছেন—এ ধরনের হামলা কি নির্দিষ্ট করিডোর ও হাবকে কেন্দ্র করে বাড়ছে, নাকি সুযোগসন্ধানীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

Russian oil refinery near Ukraine says it was hit by drone attack