কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বার্তা
একীভূতকরণের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা এখনই টাকা তুলতে পারবেন না—এ কথা স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে কোনো অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই এবং কবে থেকে উত্তোলন শুরু হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তারিখও ঠিক হয়নি।
গুজব নাকচ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো খবর অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে টাকা তোলার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ধরনের ভুয়া তথ্য আমানতকারীদের বিভ্রান্ত করছে বলে তিনি সতর্ক করেন এবং গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।

ধাপে ধাপে উত্তোলনের নীতি প্রণয়ন
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আমানতকারীদের প্রয়োজন বিবেচনায় ধাপে ধাপে অর্থ উত্তোলনের একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট বিরতিতে এই সীমা বাড়তে পারে।
যে পাঁচ ব্যাংক একীভূত হচ্ছে
একীভূতকরণের আওতায় রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। একীভূত হয়ে নতুন নামে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হবে, যার নাম হবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
হিসাব স্থানান্তর প্রায় শেষ
ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন ব্যাংকে হিসাব স্থানান্তরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। স্থানান্তর শেষ হলে বিদ্যমান সব হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ব্যাংকে চলে যাবে। আমানতকারীদের নতুন করে কোনো আবেদন বা অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা লাগবে না। আগের চেকবই দিয়েই নির্ধারিত সীমার মধ্যে টাকা তোলা যাবে।

আমানতের নিরাপত্তা ও মুনাফা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে, নির্ধারিত সীমার বেশি যে অর্থ হিসাবে থাকবে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সেই আমানতের ওপর নিয়মিত মুনাফাও দেওয়া হবে।
বৃহত্তর স্থিতিশীলতার উদ্যোগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, অতীতের অনিয়ম ও তার ফলে সৃষ্ট তারল্য সংকট কাটিয়ে ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই একীভূতকরণ এবং নিয়ন্ত্রিত অর্থ উত্তোলনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















