রিহ্যাব মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের ঢল
দেশের আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব মেলা ২০২৫-এর শেষ দিনে শনিবার বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ও সম্ভাব্য ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে। আগারগাঁওয়ের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই মেলার শেষ দিনে দুপুরের পর থেকেই ভিড় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। পরিবারসহ অনেকেই বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখার জন্য মেলায় আসেন।
শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্তে ব্যস্ত ক্রেতারা
নগরীর স্বাভাবিক যানজট ও ব্যস্ততার মধ্যেও আগ্রহী ক্রেতারা শেষ মুহূর্তের সুযোগ কাজে লাগাতে বিভিন্ন স্টলে ভিড় করেন। বেশিরভাগ দর্শনার্থী নিজেদের বাজেটের মধ্যে ফ্ল্যাট খুঁজছিলেন, আবার অনেকে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জন্য প্লট সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
লালমাটিয়ার বাসিন্দা কিশোয়ারা পারভীন বলেন, মেলার শেষ দিন হওয়ায় আজই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেছেন এবং পরিবারের সম্মতি পেলে মেলা ছাড়ার আগেই বুকিং সম্পন্ন করার ইচ্ছা রয়েছে তার।
ডেভেলপার স্টলগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য
ফ্ল্যাট নির্মাতা ও ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর স্টলগুলোতে দিনভর ছিল ব্যস্ততা। প্রতিনিধিরা প্রকল্পের অবস্থান, মূল্য, কিস্তির সুবিধা এবং মেলা উপলক্ষে দেওয়া বিশেষ ছাড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছিলেন। ছোট ও মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
রিহ্যাবের প্রত্যাশা ও আশাবাদ
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া জানান, শেষ দিনের উপস্থিতি তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। সন্ধ্যার দিকে ভিড় আরও বাড়ছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বুকিং সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদী।
একই ছাদের নিচে সব তথ্য
উত্তরার বাসিন্দা নাসরিন আক্তার বলেন, এই মেলার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এক জায়গায় অনেক প্রকল্প দেখার সুযোগ। এতে দাম ও সুযোগ-সুবিধা তুলনা করা সহজ হয়।
আবাসন খাতে ইতিবাচক প্রভাব
আয়োজকদের মতে, মেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ভিড় অব্যাহত থাকবে। যারা সপ্তাহের শুরুতে শুধু খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন, তাদের অনেকেই শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আবার মেলায় ফিরেছেন। রিহ্যাব মেলা ২০২৫ ক্রেতা ও ডেভেলপারদের মধ্যে কার্যকর সংযোগ তৈরি করে আবাসন খাতে নতুন গতি এনেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ভবিষ্যতের আশাবাদ
পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর এবং শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম ঢাকার নগরায়ণে ডেভেলপারদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বাজারে মন্দাভাবের কথা স্বীকার করলেও তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম ভবন নির্মাণে নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে নিরাপদ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















