১২ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে, প্রেসিডিয়ো-তে পাকস্থলীর ক্যানসার সার্জারির পরে জেনারেল স্টিলওয়েল মারা যান…..
যুদ্ধ শেষে
যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে আসার পরে, অ্যান্থনি সিলভা প্রথমে বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও ট্রেনিং সংশ্লিষ্ট সংস্থায় চাকরি করেন। পরে তিনি সরকারি চাকরিতে চলে যান এবং বিমানের সেইফটি ইন্সপেকটার হিসেবে কাজ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অ্যান্থনি ফ্লোরিডায় অবসর জীবন অতিবাহিত করেন।

অ্যান্থনি সিলভা।
জেনারেল জোসেফ ওয়ারেন স্টিলওয়েল ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট “ফোর স্টার জেনারেল” পদে উন্নীত হন; কিন্তু মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে, ১৯৪৪ সালের ১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জেনারেলকে ডিসমিস করেন ও দেশে ডেকে পাঠান।
দেশে ফেরত আসা চার তারকার জেনারেল স্টিলওয়েল তিন মাসের প্রাপ্য ছুটি কাটান এবং ১৯৪৫ সালের ২৪ জানুয়ারি পেন্টাগনে অবস্থিত “আর্মি গ্রাউন্ড ফোর্সেস” হেড কোয়ার্টারের কমান্ড গ্রহণ করেন। এই একই বছরের নভেম্বর মাসে “ওয়ার ডিপার্টমেন্ট ইকুয়িপমেন্ট বোর্ড” পরিচালনার দায়িত্ব পান; এই বোর্ডের কাজ ছিল: সাম্প্রতিক যুদ্ধলব্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের সুপারিশপত্র তৈরি করা।
১৯৪৬ সালের ১ মার্চ জেনারেল স্টিলওয়েল “সিক্সথ ইউএস আর্মি”-র কমান্ডের দায়িত্ব নিয়ে সান ফ্রান্সিসকো’র “প্রেসিডিয়ো”-তে চলে আসেন। এখানে, তাঁর অধীনে প্রাক্তন অধস্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ডি মিরেল-ও কাজ করেন।
১২ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে, প্রেসিডিয়ো-তে পাকস্থলীর ক্যানসার সার্জারির পরে জেনারেল স্টিলওয়েল মারা যান। তাঁর মরদেহের ছাই প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে দেয়া হয়; ওয়েস্ট পয়েন্ট কবরস্থানে তাঁর নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বসানো রয়েছে।
মেজর জেনারেল ক্লেয়ার লী চেনল্ট (অথবা শেনল্ট) প্রসঙ্গ: চেনল্ট ছিলেন আন-অর্থোডক্স বৈমানিক। আকাশযুদ্ধে ‘ডগফাইটের’ অবতারণা করে আকাশযুদ্ধের ইতিহাসে নতুন কৌশলের প্রবর্তন করেন তিনি। দুর্ধর্ষ অ্যাভেঞ্চারপ্রিয় হিসেবে তিনি বিতর্কিত ও সমাদৃত- দুই-ই হয়েছেন। এক কথায়, নিজের পেশায় ছিলেন সুপারস্টার।
(চলবে)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮১)
নাঈম হক 


















