০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮১) প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৮) সপ্তাহের প্রথম দিনে পুঁজিবাজারে মিশ্র চিত্র, ডিএসইতে সূচক কমেছে, সিএসইতে বেড়েছে সোমবার মনোনয়ন জমার শেষ দিন, জমা দিয়েছে মাত্র ১ শতাংশ প্রার্থী  ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন তারেক রহমান বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ঢাকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকে সরে গেলেও এনসিপি ছাড়ছি না: সামান্থা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি, ৬৩ শতাংশ সংবাদ নেতিবাচক: গবেষণা জানুয়ারি ৩-এর মহাসমাবেশ স্থগিত করল জামায়াতে ইসলামী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮১)

  • নাঈম হক
  • ০৫:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 9

উড়ছি আমরা- দুমদাম “সি-১০৯”-য়ের দু’দুটো ইঞ্জিনই ঠিকঠাকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিল, আর দিলো তো দিলো বিমানটি……

অ্যান্থনি আরো বলেন যে “জানো, একবার তো ‘কুনমিং’ থেকে কুর্মিটোলায় ফিরে আসবার সময় ‘সি-১০৯’ তো একেবারেই খালি ছিলো” (অর্থাৎ অবশিষ্ট জ্বালানি বলে কিছু ছিল না, একেবারেই তলানিতে নেমে গিয়েছিল)। আরেকবার “চীনের দিকে উড়ছিলাম আমরা; বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি আমরা, আমাদের প্লেনটি অবতরণ শুরু করেছে মাত্র- দেখি যে নিচে রানওয়ের দু’ধারে পজিশন নিয়ে চীনের জাতীয়তাবাদী সেনাবাহিনী ও কমিউনিস্ট সেনাবাহিনী গোলাগুলি বিনিময়ে ব্যস্ত”।

১৯৪৫ সালের এপ্রিলের শেষের দিক থেকে অ্যান্থনির গ্রুপ ভারতবর্ষ ও বার্মায় অবস্থানরত চীনা সেনাদেরকে চীনে ফিরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ, ইত্যবসরে মিত্রবাহিনীর সেনাবল জাপানের বিরুদ্ধে একের পর এক করে প্রতিটি রণাঙ্গণে জাপানিদের হারিয়ে দিচ্ছিল, ফলে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে বার্মায়ও জাপানি বাহিনীর দিন দ্রুত ঘনিয়ে আসছে।

থাকাকালে, অ্যান্থনি সিলভা সাকুল্যে সাতষট্টি বার হিমালয় পর্বতমালার আঠারো মাস স্থায়ী “ট্যুর অব ডিউটি” (তথা বৈরী পরিবেশে)-তে “হাম্পের” উপর দিয়ে ওড়াউড়ি করেছেন এবং প্রতিবারই করেছেন বিভিন্ন ক্রু’দের সঙ্গে। একবার, শুধুমাত্র একবার “হয়েছিলো কি জানো?

ঘাঁটি ত্যাগ করেছি দেড় ঘণ্টা পূর্বে, উড়ছি আমরা- দুমদাম “সি-১০৯”-য়ের দু’দুটো ইঞ্জিনই ঠিকঠাকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিল, আর দিলো তো দিলো বিমানটি যখন হিমালয়ের সর্বোচ্চ “হাম্পের” উপর দিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেসময়ে। কি আর করা? আমরা তাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বরাবর একই উচ্চতায় থেকে (অলটিটিউড) গন্তব্যস্থল পর্যন্ত উড়তে বাধ্য হই; অথচ খেয়াল করি যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূ-খণ্ডের উচ্চতা (অলটিটিউড) কিন্তু ক্রমশ হ্রাস পেয়ে পেয়ে কমে যাচ্ছিল”।

অবশেষে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্থনি ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পান, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮১)

০৫:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

উড়ছি আমরা- দুমদাম “সি-১০৯”-য়ের দু’দুটো ইঞ্জিনই ঠিকঠাকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিল, আর দিলো তো দিলো বিমানটি……

অ্যান্থনি আরো বলেন যে “জানো, একবার তো ‘কুনমিং’ থেকে কুর্মিটোলায় ফিরে আসবার সময় ‘সি-১০৯’ তো একেবারেই খালি ছিলো” (অর্থাৎ অবশিষ্ট জ্বালানি বলে কিছু ছিল না, একেবারেই তলানিতে নেমে গিয়েছিল)। আরেকবার “চীনের দিকে উড়ছিলাম আমরা; বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি আমরা, আমাদের প্লেনটি অবতরণ শুরু করেছে মাত্র- দেখি যে নিচে রানওয়ের দু’ধারে পজিশন নিয়ে চীনের জাতীয়তাবাদী সেনাবাহিনী ও কমিউনিস্ট সেনাবাহিনী গোলাগুলি বিনিময়ে ব্যস্ত”।

১৯৪৫ সালের এপ্রিলের শেষের দিক থেকে অ্যান্থনির গ্রুপ ভারতবর্ষ ও বার্মায় অবস্থানরত চীনা সেনাদেরকে চীনে ফিরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ, ইত্যবসরে মিত্রবাহিনীর সেনাবল জাপানের বিরুদ্ধে একের পর এক করে প্রতিটি রণাঙ্গণে জাপানিদের হারিয়ে দিচ্ছিল, ফলে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে বার্মায়ও জাপানি বাহিনীর দিন দ্রুত ঘনিয়ে আসছে।

থাকাকালে, অ্যান্থনি সিলভা সাকুল্যে সাতষট্টি বার হিমালয় পর্বতমালার আঠারো মাস স্থায়ী “ট্যুর অব ডিউটি” (তথা বৈরী পরিবেশে)-তে “হাম্পের” উপর দিয়ে ওড়াউড়ি করেছেন এবং প্রতিবারই করেছেন বিভিন্ন ক্রু’দের সঙ্গে। একবার, শুধুমাত্র একবার “হয়েছিলো কি জানো?

ঘাঁটি ত্যাগ করেছি দেড় ঘণ্টা পূর্বে, উড়ছি আমরা- দুমদাম “সি-১০৯”-য়ের দু’দুটো ইঞ্জিনই ঠিকঠাকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিল, আর দিলো তো দিলো বিমানটি যখন হিমালয়ের সর্বোচ্চ “হাম্পের” উপর দিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেসময়ে। কি আর করা? আমরা তাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বরাবর একই উচ্চতায় থেকে (অলটিটিউড) গন্তব্যস্থল পর্যন্ত উড়তে বাধ্য হই; অথচ খেয়াল করি যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূ-খণ্ডের উচ্চতা (অলটিটিউড) কিন্তু ক্রমশ হ্রাস পেয়ে পেয়ে কমে যাচ্ছিল”।

অবশেষে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্থনি ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পান, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসেন।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)