ফয়সাল আহমেদ
তথ্য প্রযুক্তি’র মাধ্যমে নানান তথ্য জানা, শিক্ষার হার বাড়া সব কিছু মিলে দিনে দিনে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে দেশে। আগে একটা ধারণা ছিল স্বাস্থ্য সচেতনতা শুধু বয়স্কদের বিষয়। কিন্তু এখন তরুণরাও বুঝতে শিখেছে তাদের ভবিষ্যত জীবনের জন্য সুস্থতা অন্যতম বিষয়। আর এই সুস্থতার জন্য যে স্বাস্থ্যকর খাবার খুব প্রয়োজন তাও তারা বুঝতে শুরু করছে। দৈনন্দিন জীবনে এই তরুণরা যেসব খাবার খায় তা কতটা স্বাস্থ্যকর? একজন শিক্ষার্থী এই স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে কতটা সচেতন?
একজন শিক্ষার্থীর দিনের বেশি ভাগ সময় কাটে তার ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসে তারা কেমন খাবার খাচ্ছে, কেমন খাবার হলে তাদের জন্য ভালো হয়, ক্যাম্পাসের আশেপাশে ভালো কোন খাবারের দোকান পাওয়া যায় কিনা, খাবারের মান কেমন, বর্তমানে অনলাইনের মাধমে কেমন খাবার পাচ্ছে এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী’র সঙ্গে ‘সারাক্ষণ’ থেকে কথা বলা হয়। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যা উঠে আসে-
পায়েল (২৩) পড়েন ইডেন মহিলা কলেজর ইংরেজি বিভাগে । তিনি বলেন, আমাদের সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে আমরা কলেজে এসে যে সব খাবার খাই তা হলো ফুচকা,চটপটি,বার্গার, পাস্তা ইত্যাদি। এ সব খাবার আমরা প্রায়ই খেয়ে থাকি। খাবারগুলো সুস্বাদু হলেও যে খাবারগুলোর কথা বলছি, তার একটিও স্বাস্থ্যসম্মত না। কর্তৃপক্ষ যখন এই খাবারের স্টলগুলোকে অনুমতি দেন তখন খাবারের মান যাচাই করলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়। খাবারের মানের উন্নয়ন হলে আমরা সুস্বাস্থ্যকর ও ভালো খাবার খেতে পারবো।

আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজর ছাত্রী ইসরাত জাহান (২১)। তিনি বলেন, আমরা যে দামে যে সব খাবার খাচ্ছি তা মানের দিক থেকে দামের সাথে কোনভাবেই যায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত খাবারের মান ভালো রাখা। আর কম বাজেটের মধ্যে যে সব খাবারের স্টল বা রেস্টুরেন্ট খবার বিক্রি করে এমন এমন স্টল গুলোকে কলেজের আশেপাশে বসার অনুমতি দেয়া। এতে আমরা কম দামে ভালো খাবার খেতে পারবো।

আল রাফি (২৪)। পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে টিএসসি’তে যেসব খবর পাওয়া যায় সেসব খাবারই আমরা সবসময় খেয়ে থাকি। তবে খাবারগুলোর মান আরো ভালো করলে ভালো হতো। আমাদের আশেপাশে যে সব খাবার আছে কোনটাই স্বাস্থ্যকর নয়। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে নিজস্বভাবে ক্যাম্পাসের মধ্যেই ভালো ভালো খাবারের দোকান বা রেস্টুরেন্ট তৈরি করে দিলে আমরা শিক্ষার্থীরা আরো ভালো খাবার খেতে পারবো।

ব্রাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ইসরাত তোফা (২৩) বলেন, আমরা বর্তমানে শুধু ভার্সিটির আশেপাশের দোকানগুলোতেই খাই না। অনলাইনেও বিভিন্ন রকম খাবার অর্ডারকরে খাচ্ছি। তবে অনলাইন মাধ্যমগুলোর খাবার অনেক দামী । এর দাম আরো কম হলে ভালো হয়। সাথে আরো অনলাইনে খাবার কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়। কারণ বিষয়টি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গেলে, অনলাইনে খাবারের দাম এমনিতেই কমবে। তখন মানও ভালো হবে।
Sarakhon Report 



















