শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৯)

  • Update Time : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ১২.০০ পিএম

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


তৃতীয়তঃ সাংস্কৃতিক ইতিহাসবিদরা দেখালেন যে উনবিংশ শতাব্দীর নীল বিদ্রোহের ফলে বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা কি করে ইউরোপীয় শাসনকেই চ্যালেঞ্জ করলেন। বিদগ্ধ ও অভিজাত শ্রেণীর রঙিন চশমার আলোকিত অনুভূতিতে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় উপনিবেশবাদ বিরোধিতা ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করলেন।
এই তিনটি দৃষ্টিকোণের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু পরিপ্রেক্ষিত তো এক- তাহল ভারতীয় উপনিবেশ (তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ) তাই তারা এক দিকের দৃশ্য বর্ণনা করেছেন মাত্র। ১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে যে আন্তর্জাতিক পটভূমিকায় বাংলাদেশ একটি সফল নীল রফতানী দেশ হিসাবে গড়ে উঠেছিল সে দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার যে পটভূমিকায় বাংলাদেশ একটি নীল রফতানীকারী দেশ হিসাবে আবিভূর্ত হয়েছিল পরবর্তী পৃষ্ঠাগুলিতে তার একটি বিবরণ দিয়েছি মাত্র। হঠাৎ কেমন করে বাংলাদেশ একদিন বিশ্বে নীল রফতানীকারী দেশ হয়ে গেল তা অনুধাবন করতে হলে তখনকার বিশ্বে অন্য নীল রফতানীকারী দেশে কি ঘটছিল তাও জানা দরকার।
পিয়ের পল দারাক-এর অপ্রকাশিত লেখা (এই গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ড) নীলচাষের সম্পর্কে ভারতীয় ঐতিহাসিকদের রচনাসমূহ ও বহির্বিশ্বের মধ্যে একটি সংযোগ বিশেষ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024