০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৬) চিতা-বাঘের শেষ আলোঝলক ঢাকা শহরের বাস সেবা: আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মন্দির আর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কেন রাজনৈতিক বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গে? মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ও গঙ্গা জলচুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বড় একটি ভুল, প্রতিশোধ বনাম সংস্কার সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অমর কিংবদন্তি বাংলা নাটকের সুপারস্টার অপূর্বের জন্মদিন আজ

পা হারানো রাসেলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • 16

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া মজুমদার সড়কে ভেকুর ধাক্কায় নির্মাণাধীন বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে শিশু রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশু রাসেলের পক্ষে এই রিট আবেদন করেন। রিটে শুনানির জন্য রাসেলকে হাইকোর্টে নিয়ে আসা হয়েছে।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা। গত ১১ মে রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া মজুমদার সড়কে ভেকুর ধাক্কায় নির্মানধীন বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এক পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপর এক শিশু গুরুতর আহত হয়। নিহত পথচারীর নাম টুটুল (৪৫) এবং গুরুতর আহত শিশু হলো রাসেল (১০)

কোনাপাড়া বাজার সংলগ্ন মজুমদার রোডে সম্রাটের চা দোকানের গলির ভেতর এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুটুল কোনাপাড়া এলাকার বাইতুল কারিম জামে মসজিদ এলাকায় বসবাস করতেন। গুরুতর আহত শিশু রাসেলের বাড়ি দুর্ঘটনায়স্থলের পাশেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৪৭/২ হোল্ডিংয়ের বাউন্ডারির ভেতর থেকে একটি ভেকু দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল, সেই সময় ওই পথ দিয়ে শিশু রাসেল ও নিহত টুটুল হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা চাপা পড়েন। পরে লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন দেওয়াল চাপা পড়েছে দুজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টুটুলের এবং আহত শিশু রাসেল কোমর পযন্ত দেওয়াল চাপা পড়ে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের এক পা কেটে ফেলা হয়।

রবিবার হাইকোর্টের বারান্দায় রাসেলের বাবা দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে আহত হবার পর প্রথমে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাসেলের ডান পা কেটে ফেলা হয়। অন্যদিকে বাম পাও ক্ষতিগ্রস্থ । নির্মানধীন বাড়ির মালিক এ পর্যন্ত মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে কিন্তু তাতে রাসেলের চিকিৎসা সম্ভব নয়। তিনি আর কোনো টাকা চিকিৎসার জন্য দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। ছেলের চিকিৎসার এত টাকা কই পাবো? তাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের জন্য হাইকোর্টে এসেছি।

ঢাকার খিলক্ষেতের দুর্গা মন্দির ভাঙার অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা

পা হারানো রাসেলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

০৭:০০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া মজুমদার সড়কে ভেকুর ধাক্কায় নির্মাণাধীন বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে শিশু রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশু রাসেলের পক্ষে এই রিট আবেদন করেন। রিটে শুনানির জন্য রাসেলকে হাইকোর্টে নিয়ে আসা হয়েছে।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা। গত ১১ মে রাজধানীর ডেমরায় কোনাপাড়া মজুমদার সড়কে ভেকুর ধাক্কায় নির্মানধীন বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এক পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপর এক শিশু গুরুতর আহত হয়। নিহত পথচারীর নাম টুটুল (৪৫) এবং গুরুতর আহত শিশু হলো রাসেল (১০)

কোনাপাড়া বাজার সংলগ্ন মজুমদার রোডে সম্রাটের চা দোকানের গলির ভেতর এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুটুল কোনাপাড়া এলাকার বাইতুল কারিম জামে মসজিদ এলাকায় বসবাস করতেন। গুরুতর আহত শিশু রাসেলের বাড়ি দুর্ঘটনায়স্থলের পাশেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৪৭/২ হোল্ডিংয়ের বাউন্ডারির ভেতর থেকে একটি ভেকু দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল, সেই সময় ওই পথ দিয়ে শিশু রাসেল ও নিহত টুটুল হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা চাপা পড়েন। পরে লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন দেওয়াল চাপা পড়েছে দুজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টুটুলের এবং আহত শিশু রাসেল কোমর পযন্ত দেওয়াল চাপা পড়ে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের এক পা কেটে ফেলা হয়।

রবিবার হাইকোর্টের বারান্দায় রাসেলের বাবা দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে আহত হবার পর প্রথমে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাসেলের ডান পা কেটে ফেলা হয়। অন্যদিকে বাম পাও ক্ষতিগ্রস্থ । নির্মানধীন বাড়ির মালিক এ পর্যন্ত মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে কিন্তু তাতে রাসেলের চিকিৎসা সম্ভব নয়। তিনি আর কোনো টাকা চিকিৎসার জন্য দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। ছেলের চিকিৎসার এত টাকা কই পাবো? তাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের জন্য হাইকোর্টে এসেছি।