নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় সংসদকে ১৬ দফা পরামর্শ দেওয়া সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির একপর্যায়ে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রুহুল কুদ্দুস কাজল সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বর্তমানে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য।
কোটা আন্দোলনকারীরা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে– এ প্রশ্ন করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে পরামর্শ দিন, নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।”
কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। সেটি আদালত গুরুত্ব সহকারে শুনবেন বলেও জানান তিনি।
শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, “দেশের স্বার্থে হাইকোর্ট দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১৬ দফা পরামর্শ দিয়েছেন।”তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা সংসদকে পরামর্শ দিতে যাব কেন? আমরা কি সংসদকে পরামর্শ দিতে পারি? হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারেন।”
“সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চাইলে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে পারেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা তো সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতা, আপনাদের দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদেরকে বোঝান, পরামর্শ দিন। আদালতের দরজা তো তাদের জন্য সবসময় খোলা।