০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মব ভায়োলেন্সে সন্দেহভাজন চোরের মৃত্যু, চারজন আটক দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন ঘরেই রক্তাক্ত মৃত্যু, গলা কাটা অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার এআই উন্মাদনায় বাজারের ভেতরের সতর্ক সংকেত, শর্ট বিক্রেতারা কোথায় বাজি ধরছেন ট্রাম্প অনিশ্চয়তায় এশিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার চোখে নিঃসঙ্গ ও কঠিন ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাতের কাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়—এল ফাশার দখলের পর সুদানে গণপলায়ন এশিয়াকে বেঁধে রাখা কালো স্রোত: কুরোশিও যেভাবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জলবায়ু গড়ে তুলেছে ইউরোপে খাবারের যুদ্ধ: কার্বোনারার প্লেট ঘিরে নতুন জাতীয়তাবাদ

 যে কোন মৃত্যুই দু:খজনক ,আমরা লজ্জিত – হাইকোর্ট   

  • Sarakhon Report
  • ১১:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • 86

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, এসব মৃত্যু  আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক।পাশাপাশি ৬সমন্বয়ককে কোন আইনে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়েগঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন।

শুনানি শেষে আজ বুধবার আবারও শুনানির জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতে আওয়ামী লীগপন্থি বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিতছিলেন। রিটের সমথর্নে অনেক আইনজীবীও। রিটের ঘোর বিরোধিতা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা বলছেন, মিডিয়া কাভারেজ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রিট করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধরা কেই আসে নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন,  কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কারী তাদের আদালতে আনতে একটা নির্দেশনা চেয়েছিল এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য একটা আদেশ চেয়েছিল।

দেড় পাতার একটা পিটিশন, যার মধ্যে কিছু নেই। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক কিছু নেই, সেখানে তারা যে শুনানি করছেন, বাইরের জিনিস নিয়ে যা শুনানি করার এখতিয়ার নেই।আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করা হয়। রিটের শুনানিতে আদালত বলেন,‘সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না।’

এসময় আইনজীবী অনীক আর হক নারায়ণগঞ্জে গুলিতে বাসার ছাদে ছয় বছরের শিশু রিয়ার মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন। পরে একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এসব মৃত্যুই আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক।’ অনীক আর হক বলেন, ‘সঠিক। একটা জীবন যখন চলে যায়, তখন কোনো পক্ষ থাকে না। ছয় বছরের শিশু…।’আইনজীবীর উদ্দেশে এ সময় আদালত বলেন, ‘আমার কোর্টে ইমোশনাল বিষয় অ্যাড্রেস করবো না। আমরা খুব লজ্জিত।’শুনানি শেষে রিটকারী আইনজীবীরা বলেন, আন্দোলন দমনে সরাসরি গুলি কোনোভাবেই করতে পারে না পুলিশ।

দিতে হবে প্রত্যেকটি গুলির ব্যাখ্যা। ডিবি অফিসে কী হয়েছে তা জানতে ৬ সমন্বয়ককে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন,আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য এসেছি। কারও বাপের প্রয়োজনে এখানে আসিনি।এর আগে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেন। এ রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ওই রিটে কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।এতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ (এসকে)মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।এছাড়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নুরুল ইসলাম সুজন, আজহার উল্লাহ ভূইয়া ও শাহ মঞ্জুরুল হক শুনানিতে অংশ নেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

 যে কোন মৃত্যুই দু:খজনক ,আমরা লজ্জিত – হাইকোর্ট   

১১:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, এসব মৃত্যু  আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক।পাশাপাশি ৬সমন্বয়ককে কোন আইনে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়েগঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন।

শুনানি শেষে আজ বুধবার আবারও শুনানির জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতে আওয়ামী লীগপন্থি বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিতছিলেন। রিটের সমথর্নে অনেক আইনজীবীও। রিটের ঘোর বিরোধিতা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা বলছেন, মিডিয়া কাভারেজ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রিট করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধরা কেই আসে নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন,  কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কারী তাদের আদালতে আনতে একটা নির্দেশনা চেয়েছিল এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য একটা আদেশ চেয়েছিল।

দেড় পাতার একটা পিটিশন, যার মধ্যে কিছু নেই। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক কিছু নেই, সেখানে তারা যে শুনানি করছেন, বাইরের জিনিস নিয়ে যা শুনানি করার এখতিয়ার নেই।আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করা হয়। রিটের শুনানিতে আদালত বলেন,‘সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না।’

এসময় আইনজীবী অনীক আর হক নারায়ণগঞ্জে গুলিতে বাসার ছাদে ছয় বছরের শিশু রিয়ার মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন। পরে একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এসব মৃত্যুই আমাদের সবার জন্যই দুঃখজনক।’ অনীক আর হক বলেন, ‘সঠিক। একটা জীবন যখন চলে যায়, তখন কোনো পক্ষ থাকে না। ছয় বছরের শিশু…।’আইনজীবীর উদ্দেশে এ সময় আদালত বলেন, ‘আমার কোর্টে ইমোশনাল বিষয় অ্যাড্রেস করবো না। আমরা খুব লজ্জিত।’শুনানি শেষে রিটকারী আইনজীবীরা বলেন, আন্দোলন দমনে সরাসরি গুলি কোনোভাবেই করতে পারে না পুলিশ।

দিতে হবে প্রত্যেকটি গুলির ব্যাখ্যা। ডিবি অফিসে কী হয়েছে তা জানতে ৬ সমন্বয়ককে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন,আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য এসেছি। কারও বাপের প্রয়োজনে এখানে আসিনি।এর আগে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেন। এ রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ওই রিটে কোটা সংস্কার আন্দোলনরতদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।এতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ (এসকে)মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।এছাড়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নুরুল ইসলাম সুজন, আজহার উল্লাহ ভূইয়া ও শাহ মঞ্জুরুল হক শুনানিতে অংশ নেন।