পূর্ব্বে এই খানে মোসাফেরখানা ছিল, তাহার চিহ্নও দেখা যায়। পূর্ব্বে সমাধিভবন যেরূপ বিস্তৃত ছিল, এক্ষণে তাহার আয়তনের কতক কিয়ৎ। পরিমানে হ্রাস করা হইয়াছে। ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ইষ্টকরাশি আজিও তাহার পূর্ব্ব আয়তনের পরিচয় দিতেছে।
আলিবর্দী খাঁ এই খোশবাগের সৃষ্টি করেন। প্রথমে তাঁহার জননী খোশবাগে সমাহিতা হইয়াছিলেন। আলিবর্দ্দদী ভাণ্ডারদহ ও নবাবগঞ্জ প্রভৃতি স্থানের আয় হইতে এই সমাধিভবনের ব্যয় নির্বাহের জন্য মাসিক ৩০৫ টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দেন। সিরাজের মৃত্যুর পর লুংফ উন্নেসার প্রতি খোশবাগের তত্ত্বাবধানের ভার অর্পিত হয়। তাঁহার হস্তে পাটনাস্থিত, আলিবদ্দীর ভ্রাতা হাজী আহম্মদের সমাধির ভারও অর্পিত হইয়াছিল। লুৎফ উন্নেসার জীবিতকালেই তাঁহার কন্যা উম্মত জহুরার মৃত্যু হয়।
সেই জন্য লুৎফ উন্নেসার মৃত্যুর পর উম্মত জহুরার চারি কন্যা সরীফুন্নেসা, আসম্মতন্নেসা, সাকীনা ও উন্নতুলা মেহেদী বেগম খোশবাগ প্রভৃতির তত্ত্বাবধানের জন্য, ওয়ারেন হেষ্টিংসের নিকট প্রার্থনা করিয়াছিলেন। লর্ড কর্ণওয়ালিস তাঁহাদিগকে উক্ত ভার প্রদান করেন। তাঁহাদের মৃত্যু হইলে, উক্ত বংশীয়েরা খোশবাগের
তত্ত্বাবধানের ভার পাইয়াছিলেন। ১৮৪৫ সালে সাকিনার জ্যেষ্ঠা কন্ঠা খয়েরুন্নেসার কন্যা জীনা বেগম, ও তাঁহার কনিষ্ঠা কন্ঠা ফতেমার পুত্র মহম্মদ আলি খাঁ এবং উম্মত জায়েনা ও উম্মত কোলসুম বেগম নামে উক্ত বংশীয় আরও দুইজন মহিলা এই চারি জন খোশবাগের মাতোয়ালী নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ক্রমে উক্ত বংশীয়গণের হস্ত হইতে গবর্ণমেন্ট স্বয়ং সে ভার গ্রহণ করেন।
Leave a Reply