০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে ইরানে চীনা বিনিয়োগ অনিশ্চিত, তবু মধ্যপ্রাচ্যের আহ্বান অটুট

খুশকি চুল পড়ার অন্যতম কারণ

  • Sarakhon Report
  • ০২:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • 15

ডা. জায়েদ পারভেজ

খুশকি সমস্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে মাথার ত্বকের ওপরের অংশে। এ ছাড়া মুখে এবং কানে, এমনকি ঠোঁটে, নাকের ছিদ্র থেকে শুরু করে কপাল, ভ্রুতেও দেখা যেতে পারে এই খুশকি।কেন হয়? চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা যায় খুশকিকে। তবে এটি কিন্তু আমাদের চুলের সমস্যার কারণে হয় না। খুশকির মূল কারণ হচ্ছে মানুষের মাথার ত্বক। মাথার ত্বকের শুষ্কভাবের কারণে খুশকি হয়ে থাকে। মাথার ত্বকের ওপর ভাগের ঝরেপড়া মৃত কোষ হচ্ছে খুশকির মূল উপাদান। কারো মাথার ত্বকে খুব বেশি মৃত কোষ তৈরি হয় কারো কম।

মাথার ত্বকের মৃত কোষ প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। ফলে এ সব মৃত কোষ খুব বেশি জমে গেলে মাথায় চুলপড়া রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তৈরি হতে পারে নানা ছত্রাকের। খুশকি বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি। হতাশা কিংবা মানসিক চিন্তা থেকে আপনার মাথার ত্বক ঝরেপড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনিয়মিত পরিচর্যা এবং অবহেলা মাথার ত্বকে খুশকির আধিক্য বাড়লে ছত্রাকের সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকে ঘাসহ নানা রোগের তৈরি করে।

এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়। ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হতে পারে। এই ছত্রাকটি সবার ত্বকেই কম—বেশি থাকে। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে বেশি হলে তা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। সৃষ্টি হয় খুশকি।

আবার ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানির ফলে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় সে ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খুশকি হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি হতে পারে। খুশকি হতে পারে নানা কারণে। যদি খুশকি প্রতিকার না করা যায় তবে চুলপড়া রোধ করা সম্ভব হবে না। তাই খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নিয়ন্ত্রণ : খুশকি একেবারে গোড়াতেই নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ একবার বাড়তে আরম্ভ করলে তা নিরাময় কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন খুশকি হচ্ছে, সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। যদি খুশকি খুব বেড়ে যায়, তা হলে চুলের স্বাস্থ্যহানি হবে। মাথার তালু চুলকাবে বেশি, চুলপড়া শুরু হবে। চুলে যদি অতিরিক্ত ময়লা হয় বা নিয়মিত না ধোয়া হয়, তবে খুশকি হয়। তাই যারা নিয়মিত বাইরে যান বা ধুলাবালিতে চলাফেরা করেন, তাদের খুশকি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।

যেহেতু আমাদের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর। তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করা পরিত্যাগ করতে হবে। পরিবারের কারো মাথায় খুশকি থাকলে তার ব্যবহৃত তোয়ালে বা চিরুনি ব্যবহার করা অনুচিত। মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন একবার খুশকি সেরে গেলে এবং মাথার তালু ফাঙ্গাসমুক্ত হলে ফের চুল গজাবে। সুস্থ থাকার উপায় জানুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩)

খুশকি চুল পড়ার অন্যতম কারণ

০২:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ডা. জায়েদ পারভেজ

খুশকি সমস্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে মাথার ত্বকের ওপরের অংশে। এ ছাড়া মুখে এবং কানে, এমনকি ঠোঁটে, নাকের ছিদ্র থেকে শুরু করে কপাল, ভ্রুতেও দেখা যেতে পারে এই খুশকি।কেন হয়? চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা যায় খুশকিকে। তবে এটি কিন্তু আমাদের চুলের সমস্যার কারণে হয় না। খুশকির মূল কারণ হচ্ছে মানুষের মাথার ত্বক। মাথার ত্বকের শুষ্কভাবের কারণে খুশকি হয়ে থাকে। মাথার ত্বকের ওপর ভাগের ঝরেপড়া মৃত কোষ হচ্ছে খুশকির মূল উপাদান। কারো মাথার ত্বকে খুব বেশি মৃত কোষ তৈরি হয় কারো কম।

মাথার ত্বকের মৃত কোষ প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। ফলে এ সব মৃত কোষ খুব বেশি জমে গেলে মাথায় চুলপড়া রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তৈরি হতে পারে নানা ছত্রাকের। খুশকি বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি। হতাশা কিংবা মানসিক চিন্তা থেকে আপনার মাথার ত্বক ঝরেপড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনিয়মিত পরিচর্যা এবং অবহেলা মাথার ত্বকে খুশকির আধিক্য বাড়লে ছত্রাকের সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকে ঘাসহ নানা রোগের তৈরি করে।

এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়। ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হতে পারে। এই ছত্রাকটি সবার ত্বকেই কম—বেশি থাকে। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে বেশি হলে তা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। সৃষ্টি হয় খুশকি।

আবার ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানির ফলে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় সে ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খুশকি হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি হতে পারে। খুশকি হতে পারে নানা কারণে। যদি খুশকি প্রতিকার না করা যায় তবে চুলপড়া রোধ করা সম্ভব হবে না। তাই খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নিয়ন্ত্রণ : খুশকি একেবারে গোড়াতেই নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ একবার বাড়তে আরম্ভ করলে তা নিরাময় কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন খুশকি হচ্ছে, সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। যদি খুশকি খুব বেড়ে যায়, তা হলে চুলের স্বাস্থ্যহানি হবে। মাথার তালু চুলকাবে বেশি, চুলপড়া শুরু হবে। চুলে যদি অতিরিক্ত ময়লা হয় বা নিয়মিত না ধোয়া হয়, তবে খুশকি হয়। তাই যারা নিয়মিত বাইরে যান বা ধুলাবালিতে চলাফেরা করেন, তাদের খুশকি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।

যেহেতু আমাদের ত্বক ও চুল খুবই স্পর্শকাতর। তাই এগুলোর জন্য মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করা পরিত্যাগ করতে হবে। পরিবারের কারো মাথায় খুশকি থাকলে তার ব্যবহৃত তোয়ালে বা চিরুনি ব্যবহার করা অনুচিত। মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন একবার খুশকি সেরে গেলে এবং মাথার তালু ফাঙ্গাসমুক্ত হলে ফের চুল গজাবে। সুস্থ থাকার উপায় জানুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।