জানুয়ারি ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের সব মানুষকে বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা পাঠানোর জন্য বৃহস্পতিবার দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের দুটি পান্ডা প্রজনন কেন্দ্রে ২৫টি জায়ান্ট পান্ডা শাবককে জড়ো করা হয়েছিল।
এই ২৫টি শাবক ২০২৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে চায়না কনজারভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ফর জায়ান্ট পান্ডা বা জায়ান্ট পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে জন্ম নেয় ১৩টি পান্ডা। অন্য ১২টি ছেংতু জায়ান্ট পান্ডা প্রজনন ও গবেষণা কেন্দ্রে জন্ম নিয়েছে।
চায়না কনজারভেশন অন্ড রিসার্চ সেন্টার ফর জায়ান্ট পান্ডার শুপিং জায়ান্ট পান্ডা বেসে ১৩টি শাবককে আসন্ন বসন্ত উৎসব উপলক্ষে মজার খাবার দেয়া হয়। থাংহুলু নামের ওই মজার খাবারটি ফল ও মিষ্টি দিয়ে তৈরি করা হয়। আসন্ন সর্প বর্ষের জন্য তাদের সাপ আকৃতির খেলনাও দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ছেংতু বেসে ১২টি শাবকও বেশ মজা করে। লণ্ঠন ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীতে সাজানো জায়গায় তারা খেলা করে।
দুটি সংস্থা জাতীয় জায়ান্ট পান্ডা সংরক্ষণ এবং গবেষণা কেন্দ্র গঠন করে। এটি একটি বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্ম যা ২০২৩ সালে জায়ান্ট পান্ডা গবেষণা সহযোগিতা এবং বিনিময়ের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছিল।
বছরের পর বছর ধরে, সংস্থাগুলো জায়ান্ট পান্ডা সুরক্ষা এবং একাডেমিক আদান-প্রদানে সহযোগিতা করছে। পান্ডার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবাসভূমি সুরক্ষার মতো বড় গবেষণার ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করেছে।
দুটি সংস্থা জায়ান্ট পান্ডা জাতীয় উদ্যানকে সমর্থন করার জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলও একত্র করেছে, যা২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সিছুয়ান, শানসি এবং কানসু প্রদেশের কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে।
এই ধরনের সুরক্ষা প্রচেষ্টার ফলে , প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন জায়ান্ট পান্ডার স্ট্যাটাস এখন এনডেনজারর্ডের পরিবর্তে ভালনারেবল হয়েছে।
তারমানে জায়ান্ট পান্ডা আর বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী নয়। এটা একটা বড় অর্জন ও সাফল্য।
সরকারি তথ্য অনুসারে চীনে জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা ১৯৮০ এর দশকে ছিল ১১০০। যা এখন বেড়ে ১৯০০ হয়েছে। সারাবিশ্বে বন্দী অবস্থায় পান্ডার সংখ্যা ৭৫৭।
জায়ান্ট পান্ডা চীনের আইকনিক প্রাণী। গোলাকার মুখ, মোটাসোটা দেহ এবং সাদা কালো দাগগুলোর কারণে প্রাণীটিকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। চীনের সাংস্কৃতিক প্রতীক এবং জীববৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে পান্ডা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
শান্তা/ফয়সল