সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
-
ভারত থেকে ভূমি বন্দরের মাধ্যমে কম দামে সুতো প্রবেশ করছে, যা দেশীয় শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
-
বিনিয়োগ ঝুঁকিতে, মিল বন্ধ হওয়ার শঙ্কা, কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজনে নেতিবাচক প্রভাব।
-
ভূমি বন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করা ও শিল্প সুরক্ষায় নীতি সংস্কারের।
দেশের টেক্সটাইল মিলগুলি সরকারের নিকট অনুরোধ জানায়, যাতে ভারত থেকে ভূমি বন্দরের মাধ্যমে সুতো আমদানির অনুমোদন বন্ধ করা যায়। বর্তমান ব্যবস্থায় বড় পরিমাণে সুতো অবৈধভাবে পাচার হচ্ছে, যা দেশের সুতো খাতে চাপ সৃষ্টি করছে।
আমদান পদ্ধতি: সমুদ্র বনাম ভূমি
সমুদ্রবন্দর
উন্নত পরীক্ষণ সুবিধার কারণে এখানে পাচারের সম্ভাবনা কম।
ভূমি বন্দর (বেনাপোল, সোনামাসজিদ, ভোমরা ও বাংলাবান্ধা)
কোভিড-১৯ মহামারীর পর জরুরি চাহিদা মেটাতে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল।
দুর্বল তদারকি ব্যবসায়ীদের অবৈধ আমদানির সুযোগ করে দিচ্ছে।
অবৈধ আমদানি ও প্রতিযোগিতার সমস্যা
- ভারতীয়সুতোর দাম বাংলাদেশের তুলনায় প্রতি কিলোগ্রামে ২৫-৩০ সেন্ট কম।
- এর ফলে ৯৫% এরও বেশিসুতো অবৈধভাবে আমদানি হচ্ছে।
- উদাহরণ: কিছু ব্যবসায়ী এলসি-তে ২ টন আমদানির অনুমোদন নিয়ে,পরে ৫টি ট্রাকে ১০ টন সুতো পাচ্ছেন।
স্থানীয় শিল্পে প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ
- দেশের স্পিনিং সেক্টরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের বিপদ দেখা দিচ্ছে।
- গত বছরসুতোআমদানিতে ৪০% বৃদ্ধি হয়ে ২.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
- মুদ্রার অবমূল্যায়ন,গ্যাস সংকট ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে কাজের মূলধন ও বিনিয়োগের অভাব ঘটছে।
- অনেক মিল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকায় রয়েছে।
- আগামী ৩-৪ মাস এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সরকারি পদক্ষেপ ও দাবী
- প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান,টেক্সটাইল মিলের অনুরোধে ভূমি বন্দরের মাধ্যমে সুতো আমদানি বন্ধ করেছিলেন।
- কিন্তু বর্তমান সরকার এই অনুরোধ মঞ্জুর করেনি।
- বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে: দেশের জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বোর্ডে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, যাতে অবাঞ্ছিত সিদ্ধান্ত থেকে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষিত করা যায়।
টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস প্রদর্শনী
- ঢাকায় চার দিনের ১৯তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সহিবিশনঅনুষ্ঠিত হবে।
- সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি,আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বাসুন্ধরায়।
- প্রদর্শনীতে থাকবে ১,৬০০টি স্টল ও ৩৩টি দেশের ১,১০০+ শীর্ষ ব্র্যান্ড।
- আলোচ্য বিষয়:
– টেক্সটাইল প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবন,
– মেশিনারির উন্নয়ন,
– ফ্যাব্রিক উৎপাদন,
– ডাইং প্রযুক্তি এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী।