সারাক্ষণ রিপোর্ট
ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনিচক ও চন্দ্রিমা মার্কেটে ঈদ সামনে রেখে জমজমাট ভিড় দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও দোকানিরা বলছেন, বিক্রি আশানুরূপ নয়।
তাদের বক্তব্য, ক্রেতা আসছে, তবে বিক্রি কম।
দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে দ্বিধা
ক্রেতারা বলছেন, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করছেন ঠিকই, তবে সবকিছুর দাম আগের চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। ফলে অনেকেই হিসাব করে কেনাকাটা করছেন। বিশেষ করে গরমের কারণে হালকা ও আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা বেশি।
আয়েশা তানজিন (মিরপুর থেকে):
“গত বছর যেটা ৫০০ টাকায় কিনেছিলাম, এবার সেটার দাম চাচ্ছে ৬০০ টাকা। তবুও কিনতে হয়েছে।”

কোন পোশাকের চাহিদা কেমন?
মেয়েদের পোশাক
- হারারা, সারারা, সিল্ক, জর্জেট, অরগ্যাঞ্জির কাজ করা থ্রি-পিস বেশি চলছে
- দাম: ১,০০০–৫,০০০ টাকা
- পাকিস্তানি মাস্টার কপি পাওয়া যাচ্ছে
- শাড়ি: ১,০০০–১০,০০০ টাকা
ছেলেদের পোশাক
- টি-শার্ট: ২০০–৪০০ টাকা
- শার্ট: ৫০০–২,০০০ টাকা
- জিন্স প্যান্ট: ৫০০–২,৫০০ টাকা

শিশুদের পোশাক
- জনপ্রিয় ব্র্যান্ড: নাবিলা, কেয়া, হাবিবা
- দাম: ৫০০–৭,০০০ টাকা
- সবচেয়ে বেশি বিক্রি: হাবিবা ফ্রক (৭০০–১,০০০ টাকা)
বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতা ও মন্তব্য
আলমগীর (ড্রিম কালেকশন, আল-আমিন টাওয়ার):
“ক্রেতা আসছে, দেখছে, কিনছে কম।”
রহমান হোসেন (স্টাইল হাব, গাউছিয়া):
“১৫ রোজা পর্যন্ত ভালো চলছিল, এখন শুধু ভিড়, বিক্রি কম।”
আজিজুল ইসলাম (সাজ ফ্যাশন হাউজ):
“শাড়ির চাহিদা কম, তবুও চেষ্টা করছি বিক্রি বাড়াতে।”

জাহিদুল (গ্লোরি শপিং সেন্টার):
“নতুন ক্রেতা আসছে, কিন্তু কেনাকাটা তেমন হচ্ছে না।”
ফুটপাতের কেনাকাটায় জমজমাট পরিবেশ
নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের পাশে ফুটপাতজুড়ে বসেছে অস্থায়ী দোকান। জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ, কসমেটিকসসহ নানা ঈদ সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
কামরুল (ফুটপাতের পাঞ্জাবি বিক্রেতা):
“যার দরকার সে নিচ্ছে— গরিব হোক বা বড়লোক।”
রফিকুল ইসলাম (ফুটপাত থেকে শার্ট কিনতে আসা):
“কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়, তাই ফুটপাতেই নজর রাখছি।”
সারসংক্ষেপ
নিউমার্কেট এলাকায় ঈদের আমেজ চোখে পড়লেও বিক্রেতারা প্রত্যাশামতো বিক্রি না হওয়ায় কিছুটা হতাশ। অন্যদিকে, ক্রেতারা বাজেট বুঝে চলছেন—পছন্দের জিনিস পেলে কিনছেন, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই দ্বিধায়। সামনে ঈদ থাকায় ব্যবসায়ীরা শেষ সময়ে বিক্রি বাড়ার আশায় আছেন।
Sarakhon Report 


















