ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
সংগীত শিল্পকলা
আজতেক সমাজ-এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের গোষ্ঠী। তবুও মূল কথা হিসেবে বলা যায় এই প্রাক-আজতেক বা মেক্সিকা সহ অন্যান্য নরগোষ্ঠীর মিশ্রণে নিজস্ব এক সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট। গড়ে উঠেছে।
এই বৈশিষ্ট্যের উপাদান হিসেবে ছিল সংগীত, কবিতা চিত্রকলা, নাটকীয় পরিবেশন, যন্ত্রসংগীত এবং শরীর-এর নানারকম প্রদর্শনী। সংস্কৃতি শিল্পের বিভিন্ন শাখার মধ্যে কাব্য এবং কবিতার এক বিশেষ স্থান ছিল।
যুদ্ধ না থাকা বা শান্তির সময় আজতেক যোদ্ধারা কবিতা নিয়ে মেতে থাকত। কবিতা পড়া, কবিতা নিজেদের মত করে লেখার চেষ্টা করত। এই বিরাট কাব্যভাণ্ডারের মধ্যে এখন অনেক কিছুই সুরক্ষিত আছে।
কেন না স্প্যানিশ জয়-এর পরে এইসব কবিতা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে কিছু কিছু কবিতার (লেখক-এর নাম উল্লেখ আছে। এসব নাম উদ্ধার অবশ্য দেওয়াল লিপি বা প্রস্তর লিপির পাঠোদ্ধারে বোঝা গেছে।
এরকম দুজন কবির নাম হল নেতজাহয়াল কোয়োতি (Netzahualcoyati) এবং কুয়াকুতিজিন (Cuacuatzin)। ইতি তোপকম্পন এর (Tepechpar) বাদক ছিলেন। তবে কবিতার লেখকের প্রামাণ্যতা সম্পর্কে সমালোচক, গবেষকদের মধ্যে সন্দেহ বিতর্ক আছে।
(চলবে)