১২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 110

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বলগেম প্রথা

ইনকাদের মত আজতেক সমাজেও ‘বলগেম’ এর প্রথা দেখা যায়। বল গেমকে আজতেকরা নিজেদের ভাষায় বলে লাচলি (Tlachtli)। এই খেলা হয় একটা ছোট মাঠের মত জমিতে। আই-এর মত আকার এই মাঠের মধ্যে সমান্তরালভাবে কিছুটা বেড়ার মত ঘেরা হয়। এরপর কাঠ বা পাথরের একটা রিং তৈরি করা হয়।

এই রিংটি উপর নীচে খাড়া করে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সমান্তরাল লাইনে বাস্কেটবল-এর আঁকশি। এই সাজানো অবস্থায় খেলোয়াড়রা এই রিং-এর মধ্য দিয়ে একটি শক্ত রাবার বল ছোড়ে এবং তা ফাঁকের মধ্যে দিয়ে বের করে দেবার চেষ্টা করে। খেলোয়াড়রা পা কনুই কোমর দিকে এই বল বার করার চেষ্টা করে।

লোকক্রীড়ার অন্য একটি প্রথা আজতেকদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। খেলাটির মধ্য দিয়ে বেশ আনন্দ-আরাম উপভোগ করা যায়। খেলার পদ্ধতিটি এরকম: প্রথমে খুব উঁচু একটি দণ্ড মাটিতে পোঁতা হয়। এই বড় উঁচু দণ্ডটির সঙ্গে একটি মাচার মত বাঁধা হয়।

এবার কিছু লোক দেবতার পোশাক পরে দড়ি দিয়ে ঐ মাচার সঙ্গে নিজেদের শক্ত করে বেঁধে নেয়। এরপর মাচাটিকে উপরের দিকে দোল খাওয়ায়। এর পদ্ধতি হল নিজেদের শরীরকে উপরের দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।

এর ফলে মাচাটাও দোল খায়। এর থেকে এক ধরনের বিশেষ শারীরিক ও মানসিক আনন্দ অনুভূতি পায় আজতেক সমাজের সাধারণ মানুষ।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪০)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪০)

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪১)

০৭:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বলগেম প্রথা

ইনকাদের মত আজতেক সমাজেও ‘বলগেম’ এর প্রথা দেখা যায়। বল গেমকে আজতেকরা নিজেদের ভাষায় বলে লাচলি (Tlachtli)। এই খেলা হয় একটা ছোট মাঠের মত জমিতে। আই-এর মত আকার এই মাঠের মধ্যে সমান্তরালভাবে কিছুটা বেড়ার মত ঘেরা হয়। এরপর কাঠ বা পাথরের একটা রিং তৈরি করা হয়।

এই রিংটি উপর নীচে খাড়া করে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সমান্তরাল লাইনে বাস্কেটবল-এর আঁকশি। এই সাজানো অবস্থায় খেলোয়াড়রা এই রিং-এর মধ্য দিয়ে একটি শক্ত রাবার বল ছোড়ে এবং তা ফাঁকের মধ্যে দিয়ে বের করে দেবার চেষ্টা করে। খেলোয়াড়রা পা কনুই কোমর দিকে এই বল বার করার চেষ্টা করে।

লোকক্রীড়ার অন্য একটি প্রথা আজতেকদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। খেলাটির মধ্য দিয়ে বেশ আনন্দ-আরাম উপভোগ করা যায়। খেলার পদ্ধতিটি এরকম: প্রথমে খুব উঁচু একটি দণ্ড মাটিতে পোঁতা হয়। এই বড় উঁচু দণ্ডটির সঙ্গে একটি মাচার মত বাঁধা হয়।

এবার কিছু লোক দেবতার পোশাক পরে দড়ি দিয়ে ঐ মাচার সঙ্গে নিজেদের শক্ত করে বেঁধে নেয়। এরপর মাচাটিকে উপরের দিকে দোল খাওয়ায়। এর পদ্ধতি হল নিজেদের শরীরকে উপরের দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।

এর ফলে মাচাটাও দোল খায়। এর থেকে এক ধরনের বিশেষ শারীরিক ও মানসিক আনন্দ অনুভূতি পায় আজতেক সমাজের সাধারণ মানুষ।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪০)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪০)