দীর্ঘদিনের প্রাণঘাতী ধারা
দ্য জাপান টাইমস জানায়, জাপানে বহু দশক ধরে—এমনকি ঐতিহাসিকভাবে এক শতাব্দীরও বেশি—ভালুকের আক্রমণে প্রাণহানি–আহতের হার অস্বাভাবিকভাবে বেশি; চলতি অর্থবছরেই মৃত্যুর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি এবং শহরতলির কাছাকাছি বারবার অনুপ্রবেশের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া, চাষাবাদ ছেড়ে দেওয়া জমি, এক মৌসুমে প্রচুর আখরোট–বাদাম ফললেও পরের মৌসুমে হঠাৎ ঘাটতি এবং পাহাড়ের প্রাণীদের নদী–সড়ক ধরে নিচে নেমে আসা—এসব কারণেই মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ বেড়েছে। ইতিহাসে একই ভালুকের হাতে স্বল্প সময়ে বহুজনের মৃত্যু—এমন উদাহরণ জাপানে তুলনামূলক ঘনঘন দেখা গেছে, যা দেখায় সাম্প্রতিক বৃদ্ধিটা ব্যতিক্রম নয় বরং একটি ‘বেইসলাইনে’ ফিরে যাওয়া, আর কিছু অঞ্চলে ভালুকের ঘনত্ব বেশি থাকায় আচমকা মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও সবসময় উঁচু।
সংরক্ষণ ও জননিরাপত্তার সমন্বয়
সরকারি দপ্তরগুলো স্কুলপথে টহল, সেন্সর ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক বেড়া বাড়ালেও সব প্রিফেকচারে প্রয়োগ সমান নয়; আবার নিধনের কথা উঠলেই শহুরে জনমতের আপত্তি নীতিনির্ধারণকে জটিল করে। পরিবেশবিদরা বলছেন, জলবায়ুর ভিন্নতা বাদাম-জাতীয় ফলের উৎপাদনকে এলোমেলো করছে—ফলে ভালুকের খাদ্যাভ্যাসও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে—এ অবস্থায় ‘উচ্চ ঝুঁকির’ প্রাণী দ্রুত সরাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি ডেটা সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করার মতো জাতীয় কাঠামো দরকার, যা নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আলোচনায় আছে। শীতের আগে স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ি চলাচলে ঘণ্টি, আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত রিপোর্টিংয়ের পরামর্শ নতুন করে ছড়াচ্ছে, আর হোক্কাইদোতে ডেন এলাকার আশপাশে পর্যটকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে যাতে জরুরি দলকে জীবনঝুঁকিতে কাছাকাছি গিয়ে ধরতে না হয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















