০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 114

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আলবিরূণী কথিত দ্বিতীয় আর্যভটকে অস্বীকার করতে গেলে বিরোধীযুক্তিগুলি এইরকম হবে। (১) Al-ntf এর উল্লেখ, কুহুমপুরের আর্যভটের গ্রন্থ। (২) আলবিরূণীর দ্বিতীয় আর্যভটে দৃঢ় বিশ্বাস।

আলবিরূণী ভারতে আসার পূর্বে ভারতীয় গণিতের আরবী অনুবাদ থেকে জ্ঞান আহরণ করে থাকবেন। এই অনুবাদের বিশ্বস্ততায় তিনি নিজেই সন্দেহপরায়ণ ছিলেন। আমরা লক্ষ্য করেছি এতে ভুল ছিল। Al-ntf সম্বন্ধে মনে হয় এটি ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে কুহুমপুরবাসী আর্যভটের রচনার একটি ত্রুটিপূর্ণ অনুবাদ।

এ থেকেই হয়তো আলবিরূণী দুজন আর্যভটের অভিন্নত্ব ধরতে পারেন নি বরং পৃথক ব্যক্তি মনে করার যুক্তি পেয়েছিলেন এবং সেটা আরব দেশ থেকেই পেয়েছিলেন। ভারতে আসার পর তিনি আর্যভট্টের কোন পুঁথি না পাওয়ায় এ ধারণা শুদ্ধ হতে পারে নি।

তাছাড়া তিনি অভিযোগ করেন তিনি পড়তে গিয়ে ভাল ভারতীয় শিক্ষকের সান্নিধ্যে আসতে পারেন নি। তাছাড়া ভারতীয়দের গোঁড়ামীর জন্য আলবিরূণী অনেক কিছু শিখতেও পারেন নি। ফলে এই অসম্পূর্ণ জ্ঞানের জন্ম নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সব বিভ্রান্তির ফলেই ক্যে প্রমুখেরা ভারতীয় ঐতিহ্যকে খাটো করে দেখানোর জন্ম তৎপর।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৫)

০৩:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

আলবিরূণী কথিত দ্বিতীয় আর্যভটকে অস্বীকার করতে গেলে বিরোধীযুক্তিগুলি এইরকম হবে। (১) Al-ntf এর উল্লেখ, কুহুমপুরের আর্যভটের গ্রন্থ। (২) আলবিরূণীর দ্বিতীয় আর্যভটে দৃঢ় বিশ্বাস।

আলবিরূণী ভারতে আসার পূর্বে ভারতীয় গণিতের আরবী অনুবাদ থেকে জ্ঞান আহরণ করে থাকবেন। এই অনুবাদের বিশ্বস্ততায় তিনি নিজেই সন্দেহপরায়ণ ছিলেন। আমরা লক্ষ্য করেছি এতে ভুল ছিল। Al-ntf সম্বন্ধে মনে হয় এটি ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে কুহুমপুরবাসী আর্যভটের রচনার একটি ত্রুটিপূর্ণ অনুবাদ।

এ থেকেই হয়তো আলবিরূণী দুজন আর্যভটের অভিন্নত্ব ধরতে পারেন নি বরং পৃথক ব্যক্তি মনে করার যুক্তি পেয়েছিলেন এবং সেটা আরব দেশ থেকেই পেয়েছিলেন। ভারতে আসার পর তিনি আর্যভট্টের কোন পুঁথি না পাওয়ায় এ ধারণা শুদ্ধ হতে পারে নি।

তাছাড়া তিনি অভিযোগ করেন তিনি পড়তে গিয়ে ভাল ভারতীয় শিক্ষকের সান্নিধ্যে আসতে পারেন নি। তাছাড়া ভারতীয়দের গোঁড়ামীর জন্য আলবিরূণী অনেক কিছু শিখতেও পারেন নি। ফলে এই অসম্পূর্ণ জ্ঞানের জন্ম নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সব বিভ্রান্তির ফলেই ক্যে প্রমুখেরা ভারতীয় ঐতিহ্যকে খাটো করে দেখানোর জন্ম তৎপর।

(চলবে)