১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল

হিউএনচাঙ (পর্ব-৮১)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • 144

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কান্যকুব্জ নগর সম্বন্ধে হিউএনচাঙ বলেন, ‘নগর লম্বায় ২০ লি, চওড়ায় ৪।৫ লি। নগরের চতুর্দিকে একটা শুখনো পরিখা আছে। স্থানে স্থানে সুদৃঢ় ও উচ্চ স্তম্ভ। সর্বত্র আয়নার মত উজ্জ্বল স্বচ্ছ পুষ্করিণী, ফুলের বাগান, উপবন।

এখানে পণ্যদ্রব্য প্রচুর। অধিবাসীরা ধনী ও সুখী। দেশটা শস্য ও ফুলফলে পূর্ণ। আবহাওয়া আরামজনক। লোকগুলি সাধু, সরল, আকৃতি মহত্ত্ব ও দাক্ষিণ্য ব্যঞ্জক। পরিচ্ছদ উজ্জ্বল ও মহার্ঘ। এরা খুব বিদ্যাচর্চা করে।

এদের ভাষার সংস্কৃতি প্রসিদ্ধ। ২২ বৌদ্ধ ও বিধর্মীদের সংখ্যা প্রায় সমান। মহাযান ও হীনযান দুই সম্প্রদায় মিলিয়ে দশ হাজার ভিক্ষু আছেন আর এক শত সঙ্ঘারাম আছে। দেবমন্দিরও দুই শত আর দেবভক্ত হাজার হাজার।

‘বর্তমান রাজা বৈশ্য জাতীয়। তাঁর নাম হর্ষবর্ধন। রাজকর্মচারীদের এক সভা দেশ শাসন করে। রাজার বাবার নাম ছিল প্রভাকরবর্ধন। বড় ভাইয়ের নাম রাজ্যবর্ধন। রাজ্যবর্ধন সাধুভাবে রাজ্য শাসন করতেন।

এই সময়ে কর্ণসুবর্ণের রাজা শশাঙ্ক প্রায়ই তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন, যে রাজ্যের সীমান্তে ধার্মিক রাজা থাকে, সে রাজ্য অসুখী। তখন তারা (মন্ত্রীরা) রাজ্যবর্ধনকে এক সভায় আহ্বান করে হত্যা করল।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস

হিউএনচাঙ (পর্ব-৮১)

০৯:০০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

কান্যকুব্জ নগর সম্বন্ধে হিউএনচাঙ বলেন, ‘নগর লম্বায় ২০ লি, চওড়ায় ৪।৫ লি। নগরের চতুর্দিকে একটা শুখনো পরিখা আছে। স্থানে স্থানে সুদৃঢ় ও উচ্চ স্তম্ভ। সর্বত্র আয়নার মত উজ্জ্বল স্বচ্ছ পুষ্করিণী, ফুলের বাগান, উপবন।

এখানে পণ্যদ্রব্য প্রচুর। অধিবাসীরা ধনী ও সুখী। দেশটা শস্য ও ফুলফলে পূর্ণ। আবহাওয়া আরামজনক। লোকগুলি সাধু, সরল, আকৃতি মহত্ত্ব ও দাক্ষিণ্য ব্যঞ্জক। পরিচ্ছদ উজ্জ্বল ও মহার্ঘ। এরা খুব বিদ্যাচর্চা করে।

এদের ভাষার সংস্কৃতি প্রসিদ্ধ। ২২ বৌদ্ধ ও বিধর্মীদের সংখ্যা প্রায় সমান। মহাযান ও হীনযান দুই সম্প্রদায় মিলিয়ে দশ হাজার ভিক্ষু আছেন আর এক শত সঙ্ঘারাম আছে। দেবমন্দিরও দুই শত আর দেবভক্ত হাজার হাজার।

‘বর্তমান রাজা বৈশ্য জাতীয়। তাঁর নাম হর্ষবর্ধন। রাজকর্মচারীদের এক সভা দেশ শাসন করে। রাজার বাবার নাম ছিল প্রভাকরবর্ধন। বড় ভাইয়ের নাম রাজ্যবর্ধন। রাজ্যবর্ধন সাধুভাবে রাজ্য শাসন করতেন।

এই সময়ে কর্ণসুবর্ণের রাজা শশাঙ্ক প্রায়ই তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন, যে রাজ্যের সীমান্তে ধার্মিক রাজা থাকে, সে রাজ্য অসুখী। তখন তারা (মন্ত্রীরা) রাজ্যবর্ধনকে এক সভায় আহ্বান করে হত্যা করল।

(চলবে)