ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এসব চিহ্ন সব সময় এক রকমের হত না। এর মধ্যে বৈচিত্র্যও থাকত। আজতেকরা কোন বস্তু বা বিষয়কে বোঝাবার জন্যও চিহ্ন ব্যবহার করত। এইভাবে ‘মৃত্যু’কে বোঝাতে হলে তারা কোনো সৈনিক কবর দেবার জন্য প্রস্তুত এমন চিত্র তৈরি করত। পাশে থাকত কালো আকাশ। এছাড়া গতি, হাঁটা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া এসবের বদলে তারা কোনো গন্তব্য স্থলের দিকে পায়ের চিহ্ন এঁকে দিত।
আজতেক দেওয়ালচিত্র, ধ্বনি এবং তার অর্থ: আজতেকদের ব্যক্তিগত নাম দেওয়ালে খোদাই করে লেখার প্রথা চালু ছিল। সম্রাট আকামা পিচলি (Acamapichtli)-এর অর্থ হল নল-এর সমষ্টি। সম্রাটের খোদাই করা বিষয়টি হল তার কব্জিতে একগুচ্ছ সরু লাঠি গোঁজা।
চিমালপোপোকা (Chimalpopoca) ছিলেন পরবর্তী রাজা যার অর্থ হল আবছা এক রকম ঢাল। আজতেকদের লেখার মধ্যে একটা ধ্বনিগত ব্যাপার আছে যা তাদের অর্থকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
(চলবে)
আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫২)