০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণও হতে পারে জেএমবির তৎপরতার সময় বোয়ালমারীতে নির্মম হত্যাকাণ্ড—পলাতক চার আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতের দণ্ডাদেশ সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি—ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরোধ বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা ঘিরে ট্রাম্প–লি বৈঠক; বৃহস্পতিবার চীনা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ রেকর্ড বৃষ্টিপাতে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা—নয়জনের মৃত্যু, নিখোঁজ পাঁচজন নেপাল ও তিব্বতে প্রচণ্ড তুষারঝড়ের কবলে হাজারো ট্রেকার; হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, পর্যটন বন্ধ ঘোষণা সুপার হেডলাইন: ফটিকছড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু— মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার ছয় মাসেই সম্পন্ন হবে আইপিও প্রক্রিয়া—ডিএসইর ডিজিটাল রূপান্তরের ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু; ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৯৬৪ জন লৌহজং নদীর বুকে টাঙ্গাইলের জীবনপ্রবাহ—অবহেলায় মরে যাচ্ছে এক জীবন্ত ইতিহাস

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫২)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • 135

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এত কাগজের উৎপাদন হত নানা ধরনের গাছ-এর ছাল বিশেষত নানারকম ডুমুর গাছকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শোধিত করে। কাগজ তৈরির প্রধান পদ্ধতি হল এরকম: প্রথমে কাগজের পাতলা তরল অংশ জলে বা নদীতে শুকিয়ে নেওয়া হয় এবং এর মধ্য থেকে আঁশগুলি আলাদা করে নেওয়া হয়।

এরপর এই তরল কাগজ মোলায়ম মেঝের ওপর রাখা হয় এবং একটু পরেই শক্ত পাথর দিয়ে পেটান হয়। এর ফলে পাতলা কাঁচা স্তরের কাগজ ক্রমশ শুকিয়ে মূল কাগজে পরিণত হয়। আদতে বলা ভাল কাগজের এই পাতলা অংশ হাল্কাভাবে শুকিয়ে নেবার পরেই আঁশ ও অন্যান্য অংশ কাগজ-এর রূপ নেয়।

এই কাগজ হয়ে যাবার পর শিল্পী বা লেখকরা কাগজের উপর হাত বুলিয়ে দেয় এবং কালো রং-এর একটা লাইন দিয়ে মার্জিন করা হয়। এর পর শিল্পী ব্রাশ হাতে নিয়ে তার সহজাত শৈল্পিক দক্ষতা প্রয়োগ করে নানা রং-এ কাগজকে সাজিয়ে দেয়।

তবে এই রং সাধারণত হয় লাল, নীল, হলুদ এবং সবুজ। আজতেকরা অনেক সময় নানারকম চিহ্ন ব্যবহার করে লিখত। এই ধরনের চিহ্ন, প্রতীকী ছবি ব্যবহার আমরা দেখছি চীনা এবং জাপানীভাষায়।

(চলবে)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণও হতে পারে

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫২)

০৭:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এত কাগজের উৎপাদন হত নানা ধরনের গাছ-এর ছাল বিশেষত নানারকম ডুমুর গাছকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শোধিত করে। কাগজ তৈরির প্রধান পদ্ধতি হল এরকম: প্রথমে কাগজের পাতলা তরল অংশ জলে বা নদীতে শুকিয়ে নেওয়া হয় এবং এর মধ্য থেকে আঁশগুলি আলাদা করে নেওয়া হয়।

এরপর এই তরল কাগজ মোলায়ম মেঝের ওপর রাখা হয় এবং একটু পরেই শক্ত পাথর দিয়ে পেটান হয়। এর ফলে পাতলা কাঁচা স্তরের কাগজ ক্রমশ শুকিয়ে মূল কাগজে পরিণত হয়। আদতে বলা ভাল কাগজের এই পাতলা অংশ হাল্কাভাবে শুকিয়ে নেবার পরেই আঁশ ও অন্যান্য অংশ কাগজ-এর রূপ নেয়।

এই কাগজ হয়ে যাবার পর শিল্পী বা লেখকরা কাগজের উপর হাত বুলিয়ে দেয় এবং কালো রং-এর একটা লাইন দিয়ে মার্জিন করা হয়। এর পর শিল্পী ব্রাশ হাতে নিয়ে তার সহজাত শৈল্পিক দক্ষতা প্রয়োগ করে নানা রং-এ কাগজকে সাজিয়ে দেয়।

তবে এই রং সাধারণত হয় লাল, নীল, হলুদ এবং সবুজ। আজতেকরা অনেক সময় নানারকম চিহ্ন ব্যবহার করে লিখত। এই ধরনের চিহ্ন, প্রতীকী ছবি ব্যবহার আমরা দেখছি চীনা এবং জাপানীভাষায়।

(চলবে)