মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫২)

  • Update Time : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ৭.০০ এএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এত কাগজের উৎপাদন হত নানা ধরনের গাছ-এর ছাল বিশেষত নানারকম ডুমুর গাছকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শোধিত করে। কাগজ তৈরির প্রধান পদ্ধতি হল এরকম: প্রথমে কাগজের পাতলা তরল অংশ জলে বা নদীতে শুকিয়ে নেওয়া হয় এবং এর মধ্য থেকে আঁশগুলি আলাদা করে নেওয়া হয়।

এরপর এই তরল কাগজ মোলায়ম মেঝের ওপর রাখা হয় এবং একটু পরেই শক্ত পাথর দিয়ে পেটান হয়। এর ফলে পাতলা কাঁচা স্তরের কাগজ ক্রমশ শুকিয়ে মূল কাগজে পরিণত হয়। আদতে বলা ভাল কাগজের এই পাতলা অংশ হাল্কাভাবে শুকিয়ে নেবার পরেই আঁশ ও অন্যান্য অংশ কাগজ-এর রূপ নেয়।

এই কাগজ হয়ে যাবার পর শিল্পী বা লেখকরা কাগজের উপর হাত বুলিয়ে দেয় এবং কালো রং-এর একটা লাইন দিয়ে মার্জিন করা হয়। এর পর শিল্পী ব্রাশ হাতে নিয়ে তার সহজাত শৈল্পিক দক্ষতা প্রয়োগ করে নানা রং-এ কাগজকে সাজিয়ে দেয়।

তবে এই রং সাধারণত হয় লাল, নীল, হলুদ এবং সবুজ। আজতেকরা অনেক সময় নানারকম চিহ্ন ব্যবহার করে লিখত। এই ধরনের চিহ্ন, প্রতীকী ছবি ব্যবহার আমরা দেখছি চীনা এবং জাপানীভাষায়।

(চলবে)

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024